আইএসএল ফাইনাল বেঙ্গালুরুর প্রথম একাদশে নেই সুনীল।
২২ বছরের ফুটবলজীবন। কলকাতার দুই প্রধান-সহ দেশের প্রথম সারির আটটি ক্লাবে খেলেছেন। ৩৮ বছরের সুনীল ছেত্রী আই-লিগ, আইএসএল মিলিয়ে পাঁচ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। অথচ সেই সুনীলকেই আইএসএল ফাইনালের প্রথম একাদশে রাখল না বেঙ্গালুরু এফসি। অথচ তিনিই দলের অধিনায়ক।
খেতাবি লড়াইয়ের প্রথম একাদশে ভারতীয় দলের অধিনায়ককে রাখলেন না বেঙ্গালুরু কোচ সাইমন গ্রেসন। এ বারের প্রতিযোগিতায় তিনটি ম্যাচে সুনীলকে খেলাননি তিনি। একাধিক ম্যাচে নামিয়েছেন পরিবর্ত হিসাবে। খারাপ পারফরম্যান্সের জন্য নয়। প্রথমত সুনীলের বয়স। দ্বিতীয়ত রণকৌশল। এই দুই কারণেই বেঙ্গালুরু কোচ সুনীলকে ব্যবহার করছেন কৌশল করে। প্রতিপক্ষের হাত থেকে দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলারকে সুরক্ষিত রাখতে চাইছেন গ্রেসন।
গ্রেসনের এই কৌশলই ফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের শুরুতেই বাড়তি সুবিধা পাইয়ে দিল জুয়ান ফেরান্দোর দলকে। কারণ, সুনীল মাঠে থাকা মানেই বাড়তি চাপ। রক্ষণের ফুটবলারদের সব সময় সতর্ক থাকতে হয়। ৩৮ বছর বয়সেও বক্সের মধ্যে সুনীল কতটা বিপজ্জনক তা প্রমাণ করেছেন বার বার। সুনীল মোহনবাগানের জার্সি গায়েও খেলেছেন চার বছর। সবুজ-মেরুন শিবিরের আবেগ, পরিবেশ তাঁর অজানা নয়।
অভিজ্ঞ স্ট্রাইকার ডেম্পো, চার্চিল ব্রাদার্স এবং বেঙ্গালুরুর হয়ে দু’বার আই-লিগ জিতেছেন। বেঙ্গালুরুর হয়ে জিতেছেন আইএসএলও। তবু ফাইনালের মতো ম্যাচে সুনীলকে প্রথম একাদশে রাখলেন না বেঙ্গালুরু কোচ গ্রেসন। আপাত ভাবে মোহনবাগানের সুবিধা হতে পারে। কিন্তু বিষয়টা ভাবনার মতো সহজ না-ও হতে পারে।
এ বারের আইএসএলে এই কৌশলই নিয়েছেন বেঙ্গালুরু কোচ। তাতেই টানা ১১টা ম্যাচে জিতেছে তাঁর দল। এক সময় পয়েন্ট তালিকার ১০ নম্বরের থাকা উঠতে উঠতে পৌঁছে গিয়েছে ফাইনালে। অতএব শুরুর সঙ্গে শেষটা না-ও মিলতে পারে। বদলে যেতে পারে অনেক হিসাব। ৪০-৪৫ মিনিটের সুনীল অনেক বেশি বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy