মারিও রিভেরা। —ফাইল ছবি
২০ ম্যাচে সংগ্রহ মাত্র ১১ পয়েন্ট। আইএসএল-এর লাস্ট বয় এসসি ইস্টবেঙ্গল। সাম্প্রতিক অতীতে কোনও প্রতিযোগিতায় সবার শেষে থাকেনি লাল-হলুদ শিবির।
মরসুমের শুরু থেকে ক্লাব কর্তাদের সঙ্গে ইনভেস্টর শ্রী সিমেন্টের চূড়ান্ত মতবিরোধ, চুক্তি স্বাক্ষর না হওয়া, দেরিতে দল তৈরি, মরসুমের মাঝ পথে ফুটবলার, কোচ বদল, একাধিক বিষয় প্রভাব ফেলেছে দলের পারফরম্যান্সে। ক্লাবের শতবর্ষেই এমন হতশ্রী পারফরম্যান্সে ক্ষুব্ধ সদস্য, সমর্থকরা। এসসি ইস্টবেঙ্গল কোচ মারিও রিভেরাও শেষ ম্যাচের পর বলেছেন, ‘‘এই মরসুমটা মনে রাখার মতো হল না।’’ চূড়ান্ত ব্যর্থতার মধ্যেও কিছু ইতিবাচক দিক দেখতে পেয়েছেন রিভেরা। লাল-হলুদ কোচের মতে, অনেক ভাল কিছু তাঁরা পেয়েছেন, যেগুলো মনে রাখার মতো। দল প্রতিনিয়ত উন্নতির চেষ্টা করেছে। কয়েকটি ম্যাচে যথেষ্ট ভাল খেলেছে। গোলের অনেক সুযোগ তৈরি করতে পেরেছে। ব্যর্থতার মূল কারণ হিসেবে বক্সের মধ্যের ব্যর্থতাকেই দায়ী করেছেন তিনি।
ক্লাবের শতবর্ষের মরসুম কেন মনে রাখার মতো হল না তা নিয়ে যুক্তি-পাল্টা যুক্তির স্রোত বইতে পারে। তাতে আইএসএল-এর পয়েন্ট তালিকায় শেষ স্থানে থাকার কালি মুছবে না।
শেষ ম্যাচে বেঙ্গালুরুর কাছে হারের পর রিভেরা মেনে নিয়েছেন, তাঁর দল ভাল খেলতে পারেনি। রিভেরার বক্তব্য, ‘‘যে দল বক্সে ভাল খেলতে পারে না তাদের জেতার সম্ভাবনা কম থাকে। কারণ বক্সে যা হয় সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা গোল করতে পারিনি। বেঙ্গালুরু সহজেই গোল করতে পেরেছে।’’ রিভেরা মেনে নিয়েছেন বেঙ্গালুরুর শক্তিশালী রক্ষণ ভাঙতে ব্যর্থ তাঁর ফুটবলাররা।
অনন্ত তামাং, শুভ ঘোষদের প্রথম একাদশে রাখার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন। বলেছেন, ‘‘কয়েক জনের চোট রয়েছে। তা ছাড়া বাকিদেরও খেলাতে চেয়েছিলাম। অনন্ত, শুভ ভালই খেলেছে। পেরোসেভিচ বেশ ভাল খেলছিল। কিন্তু ওরও চোট। তা-ও আমরা ম্যাচটা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে চেয়েছিলাম। বলের দখল রাখতে চেয়েছিলাম। সেটাও হয়নি। বরং, বেঙ্গালুরুই প্রথমার্ধে আমাদের চাপে রেখেছিল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy