ভারতের মহিলা ফুটবল দল। —ফাইল চিত্র
পুরুষদের পরে ভারতের মহিলা ফুটবল দলেরও জেতার সুযোগ ছিল এশিয়ান গেমসে। সুনীল ছেত্রীদের মতো এগিয়েও গিয়েছিলেন আশালতা দেবীরা। কিন্তু সেই লিড ধরে রাখতে পারলেন না তাঁরা। পর পর দু’টি গোল খেয়ে চাইনিজ তাইপেইয়ের কাছে হারত হল ভারতের মেয়েদের। দু’টি মুহূর্তের ভুলে হেরে মাঠ ছাড়ল ভারত।
ভারতের (৬১) তুলনায় ফিফা ক্রমতালিকায় চাইনিজ তাইপেই (৩৮) এগিয়ে থাকলেও প্রথম মিনিট থেকে আক্রমণাত্মক ফুটবল শুরু করে ভারত। প্রান্ত ধরে মনীষা কল্যাণ ও অঞ্জু তামাং ভাল খেলছিলেন। প্রাথমিক চাপ সামলে খেলায় ফেরে তাইপেই। বেশ কয়েকটি আক্রমণ তুলে আনে তারা। ভারতের গোলের সামনে কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হয়। যদিও আশালতার নেতৃত্বে ভারতের রক্ষণ মজবুত ছিল।
৩৭ মিনিটের মাথায় বাঁ প্রান্ত ধরে উঠে ক্রস দেন মণীষা। কিন্তু বল গোলের দিকে যায়। মনীষার দুর্ভাগ্য যে বল বারে লেগে ফিরে আসে। ফিরতি বলে সুযোগ তুলতে পারেনি ভারত। প্রথমার্ধের বাকি সময়ে দু’দল অনেক চেষ্টা করেও গোলের মুখ খুলতে পারেনি। গোলশূন্য অবস্থায় বিরতিতে যায় দু’দল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই চমক দেয় ভারত। ডান প্রান্তে বল পেয়ে অনেকটা দৌড়ে বক্সে ঢুকে গোলের দিকে বল বাড়ান অঞ্জু। বল এক ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে গোলের দিকে যাচ্ছিল। কোনও রকমে বাঁচান চাইনিজ তাইপেইয়ের গোলরক্ষক মিং জুং। ফিরতি বলে শট মারেন মনীষা। সেটিও গোললাইনে বাঁচিয়ে দেন ডিফেন্ডার। সেখান থেকে ফিরতি বলে জোরালো শটে গোল করে ভারতকে এগিয়ে দেন অঞ্জু।
গোল খাওয়ার পরে শোধ করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে চাইনিজ তাইপেই। একের পর এক আক্রমণ তুলে আনে তারা। কিন্তু ভারতের রক্ষণ মজবুত ছিল। ওপেন প্লে থেকে গোল না হওয়ায় ফ্রি কিক কাজে লাগায় তাইপেই। ৬৯ মিনিটের মাথায় ফ্রি কিক থেকে বক্সের বাইরে বল পান লাই লি চিন। ডান পায়ের শটে গোল করে সমতা ফেরান তিনি।
৮৩ মিনিটের মাথায় ভারতের গোলরক্ষক শ্রেয়া হুড্ডার ভুলে গোল খেতে হয় দলকে। শ্রেয়া গোল ছেড়ে এগিয়ে এলেও বিপক্ষ ফুটবলারেরা কাছে যেতে পারেননি। ফলে ফাঁকা গোলে বল ঠেলতে সমস্যা হয়নি পরিবর্ত হিসাবে নামা সু ইয়ু সুয়ানের। এগিয়ে যায় চাইনিজ তাইপেই। বাকি সময়ে অনেক চেষ্টা করেও গোল শোধ করতে পারেনি ভারত। ১-২ গোলে হেরে মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy