বিশ্বকাপের সেরা গোলরক্ষক হয়েছেন এমিলিয়ানো মার্তিনেস। লিয়োনেল মেসিদের দলের সতীর্থকে স্বপ্নে দেখছেন ফরাসি ফুটবলার। —ফাইল চিত্র
বিশ্বকাপের নায়ক হওয়ার সুযোগ ছিল তাঁর কাছে। বলটা গোলে ঢুকলেই তিনি ফ্রান্সকে আরও এক বার বিশ্বকাপ তুলে দিতেন। কিন্তু হয়নি। রান্ডাল কোলো মুয়ানির ডান পায়ের জোরালো শট আটকে দিয়েছিলেন এমিলিয়ানো মার্তিনেস। পরে টাইব্রেকারে ফ্রান্সকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল আর্জেন্টিনা। নিজেকে এখনও অপরাধী মনে করেন কোলোমুয়ানি। এখনও মার্তিনেসের দুঃস্বপ্নে ঘুম ভেঙে যাচ্ছে তাঁর।
বিশ্বকাপের ফাইনালে অতিরিক্ত সময়ের শেষ মিনিটে গোলের সামনে মার্তিনেসকে একা পেয়েছিলেন কোলোমুয়ানি। তাঁর ডান পায়ের শট মার্তিনেসের পায়ে লেগে বাইরে চলে যায়। এখনও তিনি নিজের সেই শট দেখেন। আর মনে মনে আক্ষেপ করেন।
একটি সাক্ষাৎকারে কোলোমুয়ানি বলেছেন, ‘‘নিজেকে অপরাধী মনে হয়। সেই সময় আমার মনে হয়েছিল জোরে শট মারতে। আমি প্রথম পোস্টে মেরেছিলাম। মার্তিনেস বাঁচিয়ে দিয়েছিল।’’ অন্য অনেক বিকল্পও তাঁর কাছে ছিল বলে স্বীকার করে নিয়েছেন ফরাসি ফুটবলার। বলেছেন, ‘‘আমি মার্তিনেসের মাথার উপর দিয়ে তুলে দিতে পারতাম। বা বাঁ দিকে অরক্ষিত এমবাপেকে বলটা দিতে পারতাম। কিন্তু সেই সময় ওকে দেখতে পাইনি। যেটা মনে হয়েছে সেটাই করেছি। এখনও ঘুমের মধ্যে সেই শট দেখতে পাই। দুঃস্বপ্নে ঘুম ভেঙে যায়। এটা সারা জীবন আমার মন ও মস্তিষ্কে থেকে যাবে।’’
ফ্রান্সের বিরুদ্ধে ফাইনালে প্রথম ৭০ মিনিট দাপট দেখিয়েছিল আর্জেন্টিনা। মেসি ও দি মারিয়ার গোলে ২-০ এগিয়ে গিয়েছিল তারা। কিন্তু কোলোমুয়ানি, কামাভিঙ্গা ও কিংসলে কোম্যান নামার পরে খেলার ছবিটা বদলায়। দু’মিনিটের মধ্যে জোড়া গোল করেন এমবাপে। অতিরিক্ত সময়ে মেসি আবার আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দিলে আবার সমতা ফেরান এমবাপে। শেষ মুহূর্তে কোলোমুয়ানি সুযোগ নষ্ট করেন। তার খেসারত দিতে হয় ফ্রান্সকে। টাইব্রেকারে ফ্রান্সকে ৪-২ হারিয়ে বিশ্বকাপ জেতে মেসির আর্জেন্টিনা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy