প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে চাপ বাড়ল আমেরিকার। ছবি: রয়টার্স
কাতার বিশ্বকাপের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে উঠতে হ্যারি কেনদের প্রয়োজন ছিল একটি জয়। সামনে ছিল আমেরিকা। কিন্তু শুক্রবার গভীর রাতে সেই ম্যাচ জিততেই পারল না ইংল্যান্ড। গ্রুপ বি-তে আমেরিকার বিরুদ্ধে গোলশূন্য ড্র করলেন হ্যারি কেনরা। প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে চাপ বাড়ল আমেরিকার।
ইংল্যান্ডের কোচ গ্যারেত সাউথগেট যদিও এই ড্র নিয়ে একটুও উদ্বিগ্ন নন। দুই ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ বি-তে শীর্ষেই রইল ইংল্যান্ড। দুই ম্যাচে দুই পয়েন্ট নিয়ে বরং চাপ বেড়ে গেল আমেরিকার। শুক্রবার এই গ্রুপের অন্য ম্যাচে ওয়েলস হেরে যায় ইরানের বিরুদ্ধে। এশিয়ার দলের পরের ম্যাচ আমেরিকার বিরুদ্ধে। ইরান এই মুহূর্তে গ্রুপে দু’নম্বর। তাদের সংগ্রহ তিন পয়েন্ট। শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ড যদি ওয়েলসকে হারিয়ে দেয় তা হলে হ্যারি কেনরা চলে যাবেন পরের রাউন্ডে। সে ক্ষেত্রে আমেরিকার বিরুদ্ধে ড্র করলেই পরের রাউন্ডে পৌঁছে যাবে ইরান। কিন্তু ওয়েলস যদি ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দেয় তা হলে ইরান এবং আমেরিকা ম্যাচের জয়ী চলে যাবে পরের রাউন্ডে, ড্র হলে ইরান এবং ওয়েলসের মধ্যে গোল পার্থক্যে এগিয়ে থাকা দল যাবে পরের রাউন্ডে।
আমেরিকাকে পরের রাউন্ডে যেতে হলে ইরানকে হারাতেই হবে। ইংল্যান্ডের পরের রাউন্ডে যাওয়ার রাস্তা অনেকটাই সোজা। ওয়েলসের বিরুদ্ধে ড্র করলেও তারাই যাবে পরের রাউন্ডে। হেরে গেলে যদিও পাল্টে যেতে পারে অঙ্ক। কারণ সে ক্ষেত্রে ইংল্যান্ড দাঁড়িয়ে থাকবে চার পয়েন্টে। ওয়েলসও চলে আসবে চার পয়েন্টে। ইরান এবং আমেরিকা ম্যাচে যে কোনও একটি দল জিতলে সে চলে যাবে পরের রাউন্ডে, ড্র হলে ইরানের হবে চার পয়েন্ট। সে ক্ষেত্রে ইংল্যান্ড, ইরান এবং ওয়েলসের মধ্যে গোল পার্থক্যে এগিয়ে থাকা দু’টি দল যাবে পরের রাউন্ডে।
অর্থাৎ আমেরিকার জেতা ছাড়া কোনও উপায় রইল না। ইরান বনাম আমেরিকা ম্যাচ তাই মরণ-বাঁচন ম্যাচ হতে চলেছে। ইরান যে সহজে ছাড়বে না তা বোঝা গিয়েছে ওয়েলস ম্যাচেই। এখন দেখার আমেরিকাকে হারিয়ে পরের রাউন্ডের দরজা খুলতে পারে কি না এশিয়ার দু’নম্বর দল (ক্রমতালিকার ভিত্তিতে)।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy