কাতারে দ্বিতীয় বার ফুটবল বিশ্বকাপ জেতার লক্ষ্যে ঝাঁপাবে ইংল্যান্ড। ছবি: টুইটার।
প্রতি ফুটবল বিশ্বকাপেই ইংল্যান্ডকে নিয়ে থাকে আগ্রহের চোরাস্রোত। ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, স্পেন, জার্মানি, পর্তুগালের মতো না হলেও ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দেশের জাতীয় দলকে নিয়েও আগ্রহ থাকে প্রচুর। গত বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে ওঠা ইংল্যান্ড কত দূর যাবে কাতারে? ২০২০ সালের ইউরো কাপের রানার্সকে নিয়ে ভাল কিছুই আশা করছেন সমর্থকরা।
এখনও পর্যন্ত এক বারই ফুটবল বিশ্বকাপ জিতেছে ইংল্যান্ড। এ বার কি কাটবে খরা? উত্তর পাওয়া যাবে কাতারে। দল গঠনে এ বার তরুণ ফুটবলারদের বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন কোচ গ্যারেথ সাউথ গেট। তাঁর লক্ষ্য ৯০ মিনিট তো বটেই, প্রয়োজনে ১২০ মিনিটই দুরন্ত গতির ফুটবল। সেই মতোই তৈরি করেছেন দলকে। বিভিন্ন ছকে গতির ঝড় তুলে প্রতিপক্ষকে বিভ্রান্ত করে দিতে চান সাউথগেট।
সূচি
২১ নভেম্বর বনাম ইরান (সন্ধে ৬.৩০)
২৫ নভেম্বর বনাম আমেরিকা (রাত ১২.৩০)
২৯ নভেম্বর বনাম ওয়েলস (রাত ১২.৩০)
— ভারতীয় সময় অনুযায়ী
পরিকল্পনা
ইংল্যান্ডের দ্রুত গতির ফুটবল পরিচিত। এর মধ্যে কোনও চমক নেই। তুলনায় সহজ গ্রুপে রয়েছে ইংল্যান্ড। খাতায়কলমে শক্তির বিচারে চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো নেই কোনও দল। তবু বিশ্বকাপ খেলতে আসা কোনও দলকেই হালকা ভাবে নিচ্ছেন না সাউথগেট। ‘এ’, ‘বি’, ‘সি’, ‘ডি’ পরিকল্পনা তৈরি করেছেন ইংল্যান্ড কোচ। গতিশীল আগ্রাসী ফুটবলের পাশাপাশি তিনি চান প্রতিপক্ষকে ছকের গোলকধাঁধায় ফেলতে। গত কয়েক বছর ধরে কোচ থাকায় দলের সব ফুটবলারের দক্ষতা এবং দুর্বলতা জানেন তিনি। কাকে কী ভাবে ব্যবহার করলে সেরা ফল পাওয়া যায়, সে সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা রয়েছে তাঁর। ৩-৪-৩, ৪-৩-৩, ৪-২-৩-১ ছকে অনুশীলন করিয়েছেন দলকে। ম্যাচের গতিপ্রকৃতি বিচার করে দলের ফর্মেশন বদল করবেন।
প্রধান ফুটবলার
ইংল্যান্ডের সব থেকে বড় সুবিধা, দলে কোনও মহাতারকা নেই। তাই কোনও এক জনের উপর নির্ভরশীলতা নেই। যদিও গোলের জন্য ইংল্যান্ড মূলত তাকিয়ে থাকবে অধিনায়ক হ্যারি কেনের দিকেই। যোগ্যতা অর্জন পর্বের আট ম্যাচে ১২টি গোল করেছেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক। প্রতি ৪৯ মিনিটে একটি গোল করেছেন ২৯ বছরের স্ট্রাইকার। গত বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোলদাতার সোনার বুট জিতেছিলেন তিনিই।
বিশ্বকাপের ইতিহাস
কাতারে ১৬তম বিশ্বকাপ খেলবে ইংল্যান্ড। ১৯৬৬ সালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তারা। আর কখনও ফাইনালে উঠতে পারেনি ইংল্যান্ড। ১৯৯০ এবং ২০১৮ সালে বিদায় নিয়েছে সেমিফাইনালে। কোনও বারই তৃতীয় স্থানের ম্যাচ জিততে পারেনি তারা। ১৯৭৪, ১৯৭৮ এবং ১৯৯৪ সালের বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি তারা।
পুরো দল:
গোলরক্ষক: জর্ডন পিকফোর্ড, নিক পোপ, অ্যারন র্যামসডেল
ডিফেন্ডার: লুক শ, জন স্টোনস, এরিক ডায়ার, হ্যারি ম্যাগুয়ের, বেন হোয়াইট, কোনর কোডি, কাইল ওয়াকার, কিয়েরান ট্রিপিয়ার, ট্রেন্ট আলেকজান্ডার আর্নল্ড
মিডফিল্ডার: মেসন মাউন্ট, জেমস ম্যাডিসন, কোনর গ্যালাঘার, জুড বেলিংহ্যাম, জর্ডন হেন্ডারসন, কেলভিন ফিলিপ্স
স্ট্রাইকার: হ্যারি কেন, ক্যালাম উইলসন, রহিম স্টার্লিং, জ্যাক গ্রিলিশ, ফিল ফডেন, মার্কাস র্যাশফোর্ড, বুকায়ো সাকা
কোচ: গ্যারেথ সাউথগেট
সম্ভাব্য একাদশ: (৪-৩-৩) পিকফোর্ড, শ, ডায়ার, ম্যাগুয়ের, ট্রিপিয়ার, মাউন্ট, ম্যাডিসন, বেলিংহ্যাম, র্যাশফোর্ড, স্টার্লিং, কেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy