মোহনবাগানে গ্রেগ স্টুয়ার্ট এবং ইস্টবেঙ্গলে জিকসন সিংহ। ছবি: ফাইল এবং ইস্টবেঙ্গল সূত্রে।
জল্পনা ছিল। শুক্রবার ঘোষণা করল কলকাতার দুই ক্লাব। মোহনবাগানে সই করলেন গ্রেগ স্টুয়ার্ট। ইস্টবেঙ্গলে জিকসন সিংহ। বেশ কিছু দিন ধরেই এই দুই ফুটবলারের সই করার কথা শোনা যাচ্ছিল।
মোহনবাগান কোচ জোসে মলিনা দলে এক জন অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার চাইছিলেন যিনি স্ট্রাইকার হিসাবেও খেলতে পারবেন। সেই জায়গায় নেওয়া হল স্টুয়ার্টকে। স্কটল্যান্ডের এই ফুটবলার আইএসএলে আগে খেলেছেন। জামশেদপুর এবং মুম্বই সিটি এফসি-র হয়ে ভারতে খেলার অভিজ্ঞতা আছে তাঁর। জামশেদপুরের হয়ে ১১টি এবং মুম্বইয়ের হয়ে ১০টি গোল করেছিলেন স্টুয়ার্ট। আইএসএলে সোনার বলও জিতেছিলেন তিনি। ৩৪ বছরের সেই স্ট্রাইকারকে দলে নিল মোহনবাগান।
সবুজ-মেরুন ক্লাবে যোগ দিয়ে স্টুয়ার্ট বলেন, “অনেক দিনের স্বপ্ন ছিল কলকাতায় খেলার। ভারতের সব ফুটবল স্টেডিয়াম আমার চেনা। ব্যক্তিগত সাফল্য পেয়েছি। চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। কিন্তু মোহনবাগানের জার্সি পরার আনন্দটাই আলাদা। এই দলের খেলায় সুযোগ পেয়ে আমি খুশি। আইএসএলের দু’টি ক্লাবকে চ্যাম্পিয়ন করেছি। আমার লক্ষ্য মোহনবাগানের চ্যাম্পিয়ন শিরোপা ধরে রাখা। সবুজ-মেরুন সমর্থকদের মুখে হাসি ধরে রাখতে চাই। ভারতের আর কোনও ক্লাবে খেলে এই স্বাদ পাওয়া যাবে না।”
২৯ জুলাই থেকে মোহনবাগানের অনুশীলন শুরু হবে। স্টুয়ার্ট বলেন, “আমি যুবভারতীতে ডার্বি খেলতে চাই। মোহনবাগানে সই করার এটা অন্যতম কারণ। কলকাতা ডার্বি এশিয়ার অন্যতম সেরা। সেই ম্যাচ খেলব এবং জিতব, এটা আমার বহু দিনের স্বপ্ন। ডার্বি জেতার কথা মাথায় রেখেই অনুশীলনে নামব।”
অন্য দিকে, ইস্টবেঙ্গল মাঝমাঠের শক্তি বৃদ্ধি করল। তারা সই করাল ভারতীয় দলের মিডফিল্ডার জিকসন সিংহকে। চার বছরের চুক্তি করা হয়েছে তাঁর সঙ্গে। বৃহস্পতিবার ভোরেই কলকাতায় এসেছিলেন জিকসন। চিকিৎসকেরা সবুজ সঙ্কেত দিতেই সরকারি ভাবে তাঁর নাম ঘোষণা করে দিল ইস্টবেঙ্গল। জিকসনকে নেওয়ার জন্য ইস্টবেঙ্গল ট্রান্সফার ফি হিসাবে কেরল ব্লাস্টার্সকে ৩.২ কোটি টাকা দিচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
মণিপুরের ফুটবলার জিকসন। ২৩ বছরের এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার দেশের হয়ে ২২টি ম্যাচ খেলে ফেলেছেন। ২০১৯ থেকে আইএসএলে কেরলের হয়ে খেলছিলেন তিনি। এ বার লাল-হলুদ জার্সিতে খেলতে দেখা যাবে তাঁকে। ২০১৭ সালে অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপে ভারতের হয়ে গোল করেছিলেন জিকসন। ইস্টবেঙ্গলে যোগ দিয়ে তিনি বলেন, “ইস্টবেঙ্গলের মতো ঐতিহাসিক ক্লাবে যোগ দিতে পেরে আমি গর্বিত। ইস্টবেঙ্গল সমর্থক যে ভাবে দলের পাশে থাকেন তা অনুপ্রেরণা দেয়। আমি সেই দলের হয়ে অবদান রাখতে চাই। আশা করি আগামী দিনে দারুণ কিছু মুহূর্ত তৈরি হবে, যা আমার স্মৃতিতে থেকে যাবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy