ডার্বির একটি মুহূর্ত। —ফাইল চিত্র।
ইস্টবেঙ্গলের লক্ষ্য ১২ পয়েন্ট। তবেই তাদের প্রথম ছয়ে শেষ করে নক আউটে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মোহনবাগানের আবার পাখির চোখ করেছে লিগ-শিল্ড। তার জন্য তাদেরও সব ম্যাচ জিততে হবে। এই পরিস্থিতিতে রবিবার কলকাতা ডার্বিতে মুখোমুখি হচ্ছে দুই প্রধান। দু’দলের কাছেই এই ম্যাচ খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, রবিবারের ডার্বিই ঠিক করে দেবে দুই প্রধানের কী ভবিষ্যৎ।
বুধবার এফসি গোয়ার কাছে ০-১ গোলে হারার পর আইএসএলের ওয়েবসাইটে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত আশার কথা শুনিয়েছেন। তিনি বলেন, “এখনও ১২ পয়েন্ট পেতে পারি আমরা। তাই আমাদের ইতিবাচক মনোভাব বজায় রাখতে হবে।”
ইস্টবেঙ্গলের বাকি চারটি ম্যাচ মোহনবাগান, কেরল ব্লাস্টার্স, বেঙ্গালুরু এফসি ও পঞ্জাব এফসির বিরুদ্ধে। এই চারটি ম্যাচের মধ্যে তারা যদি একটিতেও হারে, তা হলে তাদের প্লে অফের রাস্তা কার্যত বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু এই চার ম্যাচে জিতলেও যে তাদের সামনে প্লে অফের দরজা খুলে যাবে, তা একেবারেই নয়। এর পরেও তাদের নর্থইস্ট, চেন্নাইয়িন এবং জামশেদপুরের খেলার দিকে নজর রাখতে হবে। নর্থইস্টকে তাদের বাকি পাঁচটি ম্যাচ থেকে অন্তত পাঁচ পয়েন্ট খোয়াতে হবে। ইস্টবেঙ্গলকে সেরা ছয়ে উঠতে গেলে চেন্নাইয়িনকেও নিজেদের বাকি পাঁচ ম্যাচে অন্তত তিন পয়েন্ট খোয়াতে হবে এবং জামশেদপুরকেও তাদের শেষ চারটি ম্যাচে অন্তত দু’পয়েন্ট খোয়াতে হবে। তাই লাল-হলুদ নিজেদের সব ম্যাচ জিতলেও নিশ্চিন্ত হতে পারবে না।
অন্য দিকে মোহনবাগানের লিগ শিল্ডের ভাগ্য রয়েছে তাদের নিজেদের হাতেই। নিজেদের বাকি ছয় ম্যাচে জিতলে সবুজ-মেরুন বাহিনীর পয়েন্ট দাঁড়াবে ৫১, যা অন্য যে কোনও দলের সম্ভাব্য সর্বোচ্চ পয়েন্টের তুলনায় বেশি। তাই তারা বাকি সব ম্যাচ জিতলেই লিগ শিল্ড জিতে নিতে পারবে। মুম্বই সিটির সঙ্গে তাদের খেলা যদি ড্র হয়, তা হলেও তারা শিল্ড জিততে পারে। সে ক্ষেত্রে বাকি সব ম্যাচে জিততে হবে আন্তোনিয়ো লোপেজ় হাবাসের দলকে। সেই লক্ষ্যেই রবিবার ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে নামবে তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy