মাঝে সন্তোষ ট্রফি। (বাঁ দিক থেকে) রবি হাঁসদা, সঞ্জয় সেন, বিবি টমাস এবং নিজো গিলবার্ট। ছবি: সংগৃহীত।
আরও একটি সন্তোষ ট্রফির ফাইনাল। আরও এক বার মুখোমুখি দুই পুরনো শত্রু। মঙ্গলবার হায়দরাবাদের বালাযোগী স্টেডিয়ামে মুখোমুখি বাংলা এবং কেরল। দীর্ঘ দিন ট্রফি না পাওয়া বাংলা দল মুখিয়ে রয়েছে প্রতিশোধ নিতে। অন্য দিকে, রাজ্য স্তরের সম্মানের লড়াইয়ে আরও এক বার শেষ হাসি হাসতে মরিয়া কেরল।
এই নিয়ে সন্তোষের ফাইনালে ৪৭ বার উঠল বাংলা। তারা ট্রফি জিতেছে ৩২ বার। অন্য দিকে, কেরল ১৬তম ফাইনালে উঠে অষ্টম ট্রফি জেতার লক্ষ্যে নামবে। বাংলা শেষ বার ২০১৬-১৭ মরসুমে ট্রফি জিতেছে। শেষ দু’বার, ২০১৭-১৮ এবং ২০২১-২২ মরসুমে তারা ফাইনালে হেরেছে এই কেরলেরই কাছে। গত দু’বার মূলপর্বেই উঠতে পারেনি বাংলা।
বাংলার কোচ সঞ্জয় সেন জানিয়েছেন, অতীতের সাফল্যের কথা ভাবছেনই না তিনি। বলেছেন, “সন্তোষের ফাইনালে ওঠা হয়তো অন্য দলগুলির কাছে কৃতিত্বের হতে পারে। তবে আমাদের কাছে নয়। বাংলার কাছে ফাইনালে ওঠার অর্থ শূন্য। আমরা ৩২ বার ট্রফি জিতেছি ঠিকই। তবে এখন সন্তোষ ট্রফি অনেক বড় প্রতিযোগিতা। অনেক বেশি রাজ্য খেলছে। অতীতের পারফরম্যান্সকে ছোট করে দেখছি না। তবে এখন ট্রফি জেতা অনেক কঠিন।”
চলতি মরসুমে কেরল ৩৫ গোল করলে, বাংলা করেছে ২৭টি গোল। কেরলের মহম্মদ আজসল (৯) সবচেয়ে বেশি গোল করেছেন। বাংলার রবি হাঁসদার রয়েছে ১১টি গোল। ফলে মঙ্গলবার দু’দলেরই আগ্রাসী ফুটবল দেখতে পাওয়ার কথা। দু’দলই অপরাজিত থেকে ফাইনালে উঠেছে।
স্ট্রাইকারদের প্রতি গোটা দলের অতিরিক্ত নির্ভর হয়ে পড়াই সঞ্জয়ের চিন্তা। বলেছেন, “স্ট্রাইকারদের ব্যাপারটা ভাল লাগতে পারে। তবে আমি শুধু জিততে চাই। কে গোল করল মাথায় রাখি না। ফাইনালে আমরা শুধু নরহরি বা রবির উপর নির্ভর করতে পারি না।”
এ বারের সন্তোষের সর্বোচ্চ গোলদাতা রবি বলেছেন, “দারুণ প্রতিযোগিতা গিয়েছে আমার। এতগুলো গোল করব ভাবতে পারিনি। প্রথম বার ফাইনালে খেলতে নামছি। নিজের সেরাটা দিতে চাই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy