পর্তুগালের কাছে আটকে গিয়ে হতাশ আমেরিকার অধিনায়ক মেগান র্যাপিনো। ছবি: রয়টার্স
মহিলাদের ফুটবল বিশ্বকাপে বড় জয় পেল ইংল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডস। নিজেদের ম্যাচ জিতল ডেনমার্কও। কিন্তু গত দু’বারের চ্যাম্পিয়ন আমেরিকাকে আটকে দিল পর্তুগাল। গোলশূন্য শেষ হল খেলা। পর্তুগালের কাছে আটকে যাওয়ায় গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে পারল না আমেরিকা। দ্বিতীয় স্থানে থেকে নক আউটে গেল তারা।
চিনকে ৬-১ গোলে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। খেলার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দাপট দেখিয়েছে ইংল্যান্ড। খেলার ৪ মিনিটের মাথায় গোল করে দলকে এগিয়ে দেন অ্যালেসিয়া রুসো। প্রথমার্ধে আরও দু’টি গোল করে ইংল্যান্ড। ২৬ মিনিটের মাথায় লরেন হেম্প ও ৪১১ মিনিটের মাথায় লরেন জেমস গোল করেন। প্রথার্ধেই ৩-০ গোলে এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড।
বিরতির পরে খেলার গতির বিপরীতে গোল করে চিন। ৫৭ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি পায় তারা। গোল করতে ভুল করেননি ওয়াং শুয়াং। কিন্তু চিনের ফুটবলারদের মুখে হাসি বেশি ক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ৬৫ মিনিটের মাথায় নিজের দ্বিতীয় গোল করেন জেমস। তখনও লজ্জা বাকি ছিল চিনের। ৭৭ মিনিটের মাথায় ক্লোয়ি কেলি ও ৮৪ মিনিটে র্যাচেল ডালি গোল করেন।
অন্য দিকে ভিয়েতনামকে ৭ গোলের মালা পড়িয়েছে নেদারল্যান্ডস। শক্তিশালী ডাচদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারেনি এশিয়ার দেশ। ৮ মিনিটেই শুরু হয় গোলের বন্যা। নেদারল্যান্ডসকে এগিয়ে দেন লিয়েক মার্টেন্স। প্রথমার্ধে আরও চারটি গোল করে নেদারল্যান্ডস। ১১ মিনিটের মাথায় কাৎজ়া শ্নোয়েইস, ১৮ মিনিটে ইসমি ব্রাটস, ২৩ মিনিটে জিল রুর্ড ও বিরতির ঠিক আগে ড্যানিয়েল ভ্যান ডি ডঙ্ক গোল করেন। প্রথমার্ধেই খেলার ভবিষ্যৎ ঠিক করে ফেলে নেদারল্যান্ডস।
দ্বিতীয়ার্ধে আরও দু’টি গোল করে নেদারল্যান্ডস। ৫৭ মিনিটে ব্রাটস ও ৮৩ মিনিটে রুর্ড নিজেদের দ্বিতীয় গোল করেন। আরও গোল করতে পারত নেদারল্যান্ডস। কয়েকটি সুযোগ নষ্ট করে তারা। নইলে লজ্জা আরও বাড়ত ভিয়েনামের।
হাইতির বিরুদ্ধে জিতেছে ডেনমার্ক। ২১ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ডেনমার্ককে এগিয়ে দেন পারনিলে হার্ডার। গোল করার সুযোগ পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেনি হাইতি। তার খেসারত দিতে হয় তাদের। খেলা শেষ হওয়ার ঠিক আগে গোল করেন সানে নিয়েলসন। ২-০ গোলে ম্যাচ জেতে ডেনমার্ক।
তবে চমক দিয়েছে পর্তুগাল। শক্তিশালী আমেরিকাকে আটকে দিয়েছে তারা। গোটা ম্যাচে দাপট দেখিয়ে খেলে আমেরিকা। পর্তুগালের গোল লক্ষ্য করে ১৭টি শট নিলেও গোলের মুখ খুলতে পারেনি গত দু’বারের চ্যাম্পিয়নরা। পর্তুগাল রক্ষণ মজবুত রেখে খেলে। দেখে মনে হচ্ছিল, ড্র করার মানসিকতা নিয়েই নেমেছে তারা। আমেরিকার গোল লক্ষ্য করে একটিও শট নিতে পারেনি পর্তুগাল। এই পরিসংখ্যান থেকেই ছবিটা বোঝা যায়। কিন্তু যে পরিকল্পনা নিয়ে পর্তুগাল নেমেছিল তাতে সফল তারা। গোল করতে না পেরে শেষ দিকে মাঝে মাঝে মেজাজ হারাতে দেখা যায় আমেরিকার ফুটবলারদের।
মঙ্গলবার গ্রুপ ডি-র সব খেলা শেষ হয়ে গিয়েছে। তিনটি ম্যাচ জিতে ৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় স্থানে ৬ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে নেদারল্যান্ডস। শেষ ষোলোয় উঠেছে এই দুই দল। অন্য দিকে চিন ও হাইতির বিশ্বকাপ অভিযান শেষ হয়ে গিয়েছে। বড় জয়ের ফলে তিন ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ ই-র শীর্ষে নেদারল্যান্ড। তিন ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আমেরিকা। গ্রুপে দু’টি ম্যাচ ড্র করেছে তারা। আমেরিকাকে আটকে দিলেও ছিটকে যেতে হয়েছে পর্তুগালকে। সবার শেষে রয়েছে ভিয়েতনাম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy