ক্লাবহীন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। —ফাইল চিত্র
ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড ছেড়ে দিল ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে। মঙ্গলবার রাতেই তা জানিয়ে দিয়েছে দল। দল ছাড়ার পর মুখ খুলেছেন রোনাল্ডোও। কিন্তু তিনি পাশে পেলেন না ওয়েন রুনিকে। এক সময় ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে একসঙ্গে খেলেছেন রুনি এবং রোনাল্ডো। কিন্তু পুরনো সতীর্থকে সমর্থন করলেন না রুনি।
রোনাল্ডো সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে লেখেন, “ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। দল ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তটা দু’পক্ষ কথা বলেই নিয়েছি। আমি ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডকে ভালবাসি। সেই ক্লাবের সমর্থকদের ভালবাসি। সেটার কোনও পরিবর্তন হবে না। যদিও মনে হয় এটাই সঠিক সময় নতুন পরীক্ষার সামনে দাঁড়ানোর। বাকি মরসুম এবং ভবিষ্যতের জন্য ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডকে শুভেচ্ছা জানাই।”
দীর্ঘ সময় ম্যাঞ্চেস্টারের লাল জার্সি পরে পাশাপাশি খেলেছেন রুনি এবং রোনাল্ডো। প্রথম জন অবসর নিয়ে নিলেও রোনাল্ডো খেলছেন এ বারের বিশ্বকাপে। রুনি বিশেষজ্ঞ হিসাবে এ বারের বিশ্বকাপের পর্যালোচনা করছেন। ভারতে রয়েছেন রুনি। তিনি বলেন, “এটা খুবই লজ্জার। রোনাল্ডো ম্যাঞ্চেস্টারের হয়ে খেলেছে। দলের প্রতি ওর দায়বদ্ধতা আছে। সকলে ওর সাক্ষাৎকারটা দেখেছে। আমার মনে হয়ে না তার পর আর ওকে দলে রাখা সম্ভব ছিল।” যদিও রোনাল্ডোকে অন্যতম সেরা ফুটবলার হিসাবেই দেখছেন রুনি। তিনি বলেন, “রোনাল্ডোর মতো একজন ফুটবলারকে এমন অবস্থায় মেনে নেওয়া যায় না। আমি বহু বার বলেছি যে, সর্বকালের সেরা ফুটবলারদের এক জন ও। আমার প্রাক্তন সতীর্থ হিসাবে খারাপ লাগছে এটা দেখতে যে ম্যাঞ্চেস্টারের হয়ে আর খেলবে না রোনাল্ডো।”
মঙ্গলবার রাতে ৬৭ শব্দের একটি বিবৃতি সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে ম্যান ইউ। তাতে বলা হয়, ক্লাবের সঙ্গে মৌখিক ভাবে বিচ্ছেদ হচ্ছে রোনাল্ডোর। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে দুই পর্বে রোনাল্ডো যে অবদান রেখেছেন, তার জন্যে তাঁকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে। এটাও বলা হয়েছে, এরিক টেন হ্যাগের অধীনে ম্যান ইউ আগামী দিনে উন্নতির দিকে এগিয়ে যাবে।
রোনাল্ডোর সঙ্গে যে ক্লাবের বিচ্ছেদ হতে চলেছে, এটা দিনের আলোর মতোই স্পষ্ট ছিল। ক্লাব থেকে বিশ্বকাপ খেলতে জাতীয় শিবিরে আসার আগেই রোনাল্ডোর একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশ্যে আসে। পিয়ার্স মর্গ্যানকে দেওয়া সেই সাক্ষাৎকারে রোনাল্ডো প্রকাশ্যে সমালোচনা করেছিলেন ক্লাব এবং কোচ এরিক টেন হ্যাগের। জানিয়েছিলেন, টেন হ্যাগ তাঁকে সম্মান করেন না। তাই তিনিও কোচকে সম্মান করেন না।
এই মরসুমের শুরু থেকেই লাল ম্যাঞ্চেস্টারের প্রথম একাদশে নিয়মিত ছিলেন না রোনাল্ডো। বেশির ভাগ ম্যাচে বেঞ্চে বসেই কাটাতে হয়েছে। হাতে গোনা কিছু ম্যাচে পরিবর্ত হিসাবে মাঠে নেমেছেন। নেদারল্যান্ডসের টেন হ্যাগের যে রোনাল্ডোকে পছন্দ নয়, তা তাঁর দল গঠন থেকেই পরিষ্কার। রোনাল্ডোর থেকে অনেক বেশি মার্কাস র্যাশফোর্ডের উপর ভরসা তাঁর। তার ফলও পাচ্ছে দল। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে শুরু থেকেই অনেক ম্যাচে পয়েন্ট নষ্ট করেছে তারা। এ বারও লিগ জেতার সম্ভাবনা তাদের প্রায় নেই বললেই চলে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy