এআইএফএফ নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবেন না ভাইচুং। ফাইল চিত্র
সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের (এআইএফএফ) সভাপতি পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন ভাইচুং ভুটিয়া। সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন করেছিলেন, প্রশাসক কমিটি ভারতীয় ফুটবলের জন্য যে খসড়া সংবিধান তৈরি করেছে তাতে যেন মান্যতা দেওয়া হয়। কিন্তু সেই প্রশাসক কমিটিকেই সরিয়ে দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। এই নির্দেশে হতাশ ভাইচুং। তিনি জানিয়েছেন, প্রাক্তন ফুটবলার হিসাবে প্রশাসনে ঢোকার লড়াই চালিয়ে যাবেন তিনি।
প্রশাসক কমিটি সরিয়ে দেওয়ার পরে নতুন করে নির্বাচন প্রক্রিয়া হবে। ইতিমধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ২ সেপ্টেম্বর হবে সেই নির্বাচন। স্বভাবতই ভাইচুং নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। তাই খানিকটা হলেও হতাশ তিনি। ভাইচুং বলেন, ‘‘কিছুটা হতাশ। ফুটবলারদেরও প্রশাসনে জায়গা দেওয়ার আবেদন করেছিলাম। সেটা হয়নি। আমাদের লড়াই চলবে। ফেডারেশন, ক্রীড়ামন্ত্রক থেকে শুরু করে সুপ্রিম কোর্ট, সব জায়গায় বার বার আবেদন করব। আশা করব, আগামী দিনে যখন ভারতীয় ফুটবলের সংবিধান তৈরি হবে তখন যেন প্রাক্তন ফুটবলারদের জায়গা দেওয়া হয়। এটুকু আমাদের প্রাপ্য।’’
ভবিষ্যতে অনেক ফুটবলার কোচিংয়ের বদলে প্রশাসনে আসতে পারেন বলে আশা ভাইচুংয়ের। তিনি বলেন, ‘‘সবাই কি কোচিং করাবে? আগামী দিনে গুরপ্রীত সান্ধু, সুনীল ছেত্রীরা প্রশাসনে যেতে পারে। গত ৭৫ বছরে কোনও ফুটবলারকে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি পদে দেখিনি। যারা দেশের জন্য ঘাম, রক্ত ঝরায়, তাদের কি এটুকুও প্রাপ্য নয়?’’
হতাশ হলেও এই পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্ট সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মনে করেন ভাইচুং। তিনি বলেন, ‘‘ভারতীয় ফুটবলের উপর থেকে নির্বাসন কী ভাবে উঠবে, সেটাই এখন সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। মহিলাদের অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ আয়োজন করতে হবে। তার জন্য যেটা দরকার সেটাই করেছে সুপ্রিম কোর্ট। আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি নির্বাসন উঠে যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy