নেপথ্যে: ‘অমরদের’ সাফল্যে ‘অ্যান্টনি’ নিক ওয়েবের (বাঁ দিকে) হাত।
প্রত্যাশা জাগিয়ে শুরু করেও বিশ্বকাপ জেতা হয়নি। সেমিফাইনাল থেকেই ফিরতে হয়েছিল বিরাট কোহালির ভারতীয় দলকে। কিন্তু তার পর থেকে একের পর এক সিরিজ জিতেই চলেছে ভারত। ওয়ান ডে সিরিজে প্রথমে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে গিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে জয়। তার পরে দেশের মাটিতে প্রথমে দক্ষিণ আফ্রিকা ও তার পরে ফের ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে সিরিজ ২-১ জয়। কিন্তু তার পরেও বিশ্বকাপ জিততে না পারার দুঃখ যায়নি বিরাট কোহালির দলের।
রবিবার কটকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজ জিতে অধিনায়ক বিরাট কোহালি ও সহ-অধিনায়ক রোহিত শর্মা যা বললেন, তাতে সেই মনোভাবই স্পষ্ট। বিরাট বললেন, ‘‘বিশ্বকাপের শেষ তিরিশ মিনিট বাদ দিলে বছরটা ভালই গেল ভারতীয় ক্রিকেটের পক্ষে। এই দলটার আইসিসি ট্রফি প্রাপ্য। বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্ন নিয়েই ছুটে চলেছে আমাদের দলটা।’’ রোহিতও বললেন, ‘‘বছরটা দারুণ গেল। তবে বিশ্বকাপ জিতলে তা আরও সুন্দর হত।’’
ভারতীয় ক্রিকেটকে সব সময়েই উন্মুক্ত প্রাঙ্গন হিসেবে দেখা হয়েছে। এখানে বিদেশি কোচ ও সাপোর্ট স্টাফ অনেক অবদান রেখে গিয়েছেন। অতীতে গ্যারি কার্স্টেন ভারতকে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন করেছেন। সাফল্য পেয়েছেন কোচ জন রাইট। ফিজিওথেরাপিস্ট অ্যান্ড্রু লিপাসরা। সে ভাবেই এখন ভারতীয় দলের স্ট্রেংথ ও কন্ডিশনিং কোচ হিসেবে কাজ করছেন নিক ওয়েব। যিনি মাঠের বাইরে থেকে লড়াইয়ের জন্য তৈরি করে দিচ্ছেন বিরাট কোহালিদের।
রবিবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের করা ৩১৫ রান তাড়া করতে গিয়ে বিরাট আউট হওয়ার পরে এক সময়ে চাপের পরিবেশ তৈরি হয়েছিল ভারতীয় সমর্থকদের মধ্যে। কিন্তু সেই জায়গা থেকে শার্দূল ঠাকুর ও রবীন্দ্র জাডেজা জয়ের রাস্তা তৈরি করে দেন। যে প্রসঙ্গে কোহালি বলছেন, ‘‘মাঠে শিশির পড়ছিল। অতীতে রান তাড়া করতে গিয়ে সফল ভাবে জয় ছিনিয়ে নিয়ে এসেছি আমরা। তাই নিজেদের প্রতি আস্থা থাকায় শান্তই ছিলাম চাপের মুখে। জানতাম, জুটিগুলো ক্রিজে দাঁড়িয়ে গেলেই প্রতিপক্ষ পাল্টা চাপে পড়ে যাবে। শেষ পর্যন্ত তাই হয়েছে। শার্দূল ঠাকুর ও রবীন্দ্র জাডেজা নিখুঁত ভাবে ম্যাচটা শেষ করে এল। ওদের এ ভাবে জয় ছিনিয়ে আনতে দেখে দারুণ লাগছে।’’ যোগ করেন, ‘‘আউট হওয়ার সময়ে কিছুটা স্নায়ুর চাপে পড়েছিলাম। কিন্তু তার পরেই জাড্ডুর দিকে তাকিয়ে বুঝে যাই ও আত্মবিশ্বাসী মেজাজেই রয়েছে।’’
একই সঙ্গে এ দিন ভারতীয় পেসারদেরও প্রশংসা করেন বিরাট। বলেন, ‘‘এক সঙ্গে বেশ কয়েকজন আন্তর্জাতিক মানের পেসার পাওয়াটা ভারতীয় দলের পক্ষে ভাল ব্যাপার। তার ফলে বিশ্বের যে কোনও মাঠে যে কোনও প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হতে তৈরি আমরা। বিদেশে গিয়ে সিরিজ জেতার জন্যও তৈরি ভারতীয় দল।’’ যোগ করেন, ‘‘দলে একাধিক বিকল্প রয়েছে। সবাইকে খেলিয়ে দেখে নেওয়া হচ্ছে, কে চাপের মুখে পারফর্ম করতে পারছে।’’
৩১ বলে ৩৯ রান করে ভারতের জয় আনতে বড় ভূমিকা নিয়েছেন রবীন্দ্র জাডেজাও। তাঁর কথায়, ‘‘বিরাট আউট হওয়ার পরে শার্দূল ক্রিজে আসতেই ওকে বলেছিলাম, ‘‘উইকেট দারুণ। বল দারুণ ভাবে ব্যাটে আসছে। কাজেই ঠিক ভাবে ব্যাট করতে হবে। ভুল শট খেলা চলবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy