সিডনির এই পিচেই হয়েছে ম্যাচ। — ফাইল চিত্র।
ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়ার সিডনি টেস্ট শেষ হয়ে গিয়েছিল তিন দিনেই। ম্যাচের পর সিডনির পিচের প্রশংসা করেছিলেন ভারতের কোচ গৌতম গম্ভীর। সমালোচনা করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারেরা। সেই পিচ নিয়ে এ বার নিজেদের মতামত জানাল আইসিসি। সিডনির পিচকে ‘সন্তোষজনক’ বলে জানিয়েছে তারা।
পাঁচটি টেস্টের মধ্যে একমাত্র সিডনির পিচটিই সন্তোষজনক রেটিং দেওয়া হয়েছে। বাকি চারটি টেস্টের পিচকেই বলা হয়েছে ‘খুব ভাল’। বাকি টেস্টগুলি হয়েছে পার্থের অপ্টাস স্টেডিয়াম, অ্যাডিলেড ওভাল, ব্রিসবেনের গাব্বা এবং মেলবোর্নে। অর্থাৎ সিডনি নিয়ে গম্ভীর নয়, অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদের পর্যবেক্ষণই কিছুটা হলেও মান্যতা পেয়েছে। উল্লেখ্য, কোনও টেস্টের পরেই পিচ নিয়ে ভারতীয়দের সমালোচনা শোনা যায়নি।
সিডনি টেস্টে সাধারণত ব্যাটিং সহায়ক উইকেট থাকে। স্পিনারেরাও সাহায্য পান। তবে এ বারের টেস্টে জোরে বোলারেরা বেশি সাহায্য পেয়েছেন। ব্যাটারেরা সে ভাবে খেলতেই পারেননি। দুই দলের কারওই শতরান নেই। কম স্কোরের খেলা হয়েছে।
আইসিসি-র রেটিং শুনে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার কর্তা পিটার রোচ বলেছেন, “আমরা এমন পিচ তৈরি করতে চাই যা সেই মাঠের বৈশিষ্ট্যকে তুলে ধরে। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটে অনেক দিন ধরেই এ জিনিস চলে আসছে। আমরা এমন পিচ তৈরি করি না যা শুধু অস্ট্রেলিয়াকেই সুবিধা করে দেয়। ব্যাট এবং বলের লড়াইকেই আমরা প্রাধান্য দিই।”
সিডনিতে প্রথম দু’দিনেই ২৬টি উইকেট পড়েছিল। শেষ দিনে পড়েছে ছ’টি উইকেট। বোলারেরাই দাপট দেখিয়েছেন। তবে রোচের দাবি, খেলা আরও গড়ালে স্পিনারেরা সাহায্য পেতে পারতেন। কারণ সিডনির পিচ ক্ষয়ে গেলে স্পিনারেরা সাহায্য পান।
সিডনি টেস্টের পর গম্ভীর বলেছিলেন, “সিডনির উইকেট খুবই ভাল হয়েছে। টেস্টের জন্য খুবই ভাল। বোলার, ব্যাটার দুই বিভাগকেই সাহায্য করেছে। ব্যাটারদের পরিশ্রম করতে হয়েছে রান করতে। অতীতে সিডনির উইকেটের মতো এই পিচ ছিল না। টেস্টে ফলাফল হবে এমন উইকেটই হওয়া উচিত। দেশে ফিরে আমরা পিচ নিয়ে আরও আলোচনা করব।”
তার পাল্টা উসমান খোয়াজা বলেছিলেন, “মিথ্যা কথা বলব না। আগে থেকে সিডনির উইকেট নিয়ে খুব বেশি কথা বলতে চাইনি। খুব একটা ভাল উইকেট মোটেই ছিল না। প্রথামাফিক সিডনির উইকেট বানানো হয়নি। গোটা পিচ ভেঙে গিয়েছিল। প্রচুর ঘাস ছিল। ব্যাট করতে সমস্যা হয়েছে। স্কোরবোর্ড দেখলেই সেটা বুঝতে পারবেন।”
সিডনির ঘরের ছেলে স্টিভ স্মিথও পিচ নিয়ে খুশি হননি। বলেছিলেন, “আমার খেলা সবচেয়ে কঠিন সিডনির পিচ। অনেক কঠিন ছিল খেলা। দু’দিক থেকে গতিশীল ছিল। সুইং করছিল বল। আগে কোনও এসসিজি-তে এ রকম উইকেটে খেলিনি। ব্যাট করতে সমস্যা হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy