অসন্তুষ্ট: দলে নিয়মিত নন, তাই দল ছাড়ার ভাবনা লিংডোর।
ভারতীয় ফুটবলে সাড়া জাগিয়ে আগমন ঘটেছিল তাঁর। রূপকথার মতোই ছিল উত্থান। মনে করা হয়েছিল, আইএসএলের হাত ধরে আরও উপরে উঠবেন তিনি।
এই মুহূর্তে কিন্তু ইউজেনসন লিংডো খুব স্বস্তিতে থাকা নাম নয়। চোট-আঘাত থেকে রক্ষা পেয়ে মাঠে ফিরে এলেও নিয়মিত খেলার ভাগ্য জুটছে না তাঁর কপালে। এ বারে আইএসএলে এটিকে-তে রয়েছেন তিনি। কিন্তু খুব একটা খেলার সুযোগ পাননি। শোনা যাচ্ছে, এটিকে ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা ভেবেছেন তিনি। এ ব্যাপারে কলকাতার ক্লাবের সঙ্গে তাঁর কথাবার্তা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে কর্তাদের কাছ থেকে অনুমতি পেয়েছেন বলে খবর নেই।
ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে কেরিয়ার ছেড়ে ফুটবল খেলতে আসার বিরল উদাহরণ স্থাপন করেছিলেন লিংডো। কিন্তু শেষ দু’বছরে পরিস্থিতি অনেকটাই ঘুরে গিয়েছে। প্রায় গোটা বছরই চোট কাবু ছিলেন। জামশেদপুরে এটিকের তৃতীয় ম্যাচেই বাঁ হাটুতে মারাত্মক চোট পান তিনি। মুম্বইয়ে শল্যবিদ অনন্ত জোশীর কাছে অস্ত্রোপচার করার পরে প্রায় দু’মাস ক্রাচের উপরে ভর করেই থাকতে হয়েছিল। স্বপ্ন ছিল, এ বছরে সেই অনুপস্থিতির খেদ মেটাবেন এটিকের জার্সি গায়ে। যা এখনও পূরণ হয়নি কারণ নতুন কোচ স্টিভ কপেলের অধীনে তিনি খেলার সুযোগই পাচ্ছেন না। সব ম্যাচ মিলিয়ে এ বছরে ৭০ মিনিট মতো খেলেছেন লিংডো, যা তাঁর মতো প্রতিভাবান ফুটবলারের জন্য মোটেও ভাল বিজ্ঞাপন নয়।
লিংডো আগে খেলতেন বেঙ্গালুরু এফ সি-তে। মাঝে শোনা গিয়েছিল, সেখানে ফিরে যেতে পারেন তিনি। ২০১৭-১৮ নিলামে তিনি ছিলেন যুগ্ম ভাবে সর্বোচ্চ মূল্যের ফুটবলার। ১.১ কোটি টাকায় তাঁকে কিনেছিল এটিকে। কিন্তু লিংডো-এটিকে মধুচন্দ্রিমা ভাঙার পথে। কপেল জমানায় খুব আস্থা তাঁর উপরে নেই, পরিষ্কার। চোটের পরে আগের সেই ক্ষিপ্রতা আর দেখা যাচ্ছে কি না, সেই প্রশ্ন উঠেছে। অন্য দিকে, লিংডো চাইছেন বসে না থেকে মাঠে নেমে খেলতে। তাই প্রয়োজনে আইএসএল কর্তৃপক্ষেরও দ্বারস্থ হতে পারেন ট্রান্সফারের আর্জি নিয়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy