প্রস্তুতি: অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপের জন্য তৈরি হচ্ছে যুবভারতী। —ফাইল চিত্র।
অনূর্ধ্ব সতেরো বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে নজিরবিহীন এক ঘটনা ঘটতে চলেছে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে। এই প্রথম কলকাতার কোনও মাঠে সম্পূর্ণ পেশাদারী পদ্ধতিতে দর্শকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা হচ্ছে। যে ভাবে বিদেশের সমস্ত বড় বড় মাঠে দর্শকদের নিরাপত্তার দিকটি সামলানো হয়।
ফিফার অনূর্ধ্ব সতেরো বিশ্বকাপের ম্যাচগুলি ভারতে ছ’টি কেন্দ্রে হচ্ছে। তার মধ্যে যুবভারতী খুবই গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে রয়েছে। নিরাপত্তাজনিত এই আয়োজন সম্পূর্ণ করতে গেলে আগে সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে হবে স্টেডিয়াম। সেই লক্ষ্য নিয়েই ইংল্যান্ডের ‘স্পোর্টস গ্রাউন্ডস সেফটি অথরিটি’ সংস্থার পক্ষ থেকে এক বিশেষ প্রতিনিধি দল এসে পৌঁছচ্ছে ভারতে। ১৯ ও ২০ মার্চ তাঁরা অনূর্ধ্ব সতেরো বিশ্বকাপের বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখবেন। উয়েফা এবং এএফসি-র সঙ্গে হাত মিলিয়ে নিরাপত্তাজনিত এই সার্ভে করা হচ্ছে।
তার পর প্রতিনিধি দল রিপোর্ট পেশ করবে যে, দর্শক নিরাপত্তার জন্য কী কী পরিবর্তন আনা দরকার। ড্রেসিংরুমের অবস্থান থেকে শুরু করে দর্শকাসন, গ্যালারিতে বসার ব্যবস্থা, দর্শক যাতায়াতের রাস্তায় কতটা চওড়া— সব কিছুই খতিয়ে দেখবে প্রতিনিধি দল। কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে ড্যামেজ কন্ট্রোল করার মতো যথেষ্ট সুব্যবস্থা থাকছে কি না, সে সবও দেখা হবে। তার পরে প্রতিনিধি দলের রিপোর্ট অনুযায়ী, যুবভারতীর নতুন রূপ সম্পূর্ণ হবে।
সর্বভারতীয় ফেডারেশনের কাছে ফিফা থেকে এই চিঠি এসে পৌঁছেছে এ সপ্তাহেই। তার পরেই জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে যে, কোন স্টেডিয়ামে কত দর্শকাসন হবে সে ব্যাপারে এখনই নির্দিষ্ট করে কিছু বলা যাবে কি না? কারণ , প্রতিনিধি দল এসে যদি সরেজমিনে দেখে মনে করেন দর্শকাসনে যথেষ্ট নিরাপত্তা বা ফাঁকা জায়গা নেই, তা হলে তাঁরা সিট সংখ্যাও কমিয়ে দিতে পারেন। এখন বাধ্যতামূলক ভাবেই ফিফার সমস্ত টুর্নামেন্টে এই ধরনের নিরাপত্তাজনিত পদক্ষেপ করা হচ্ছে। তবে ভারতে কখনও কোনও মাঠে এই ধরনের জিনিস আগে ঘটেনি। এমনকী, আইপিএলের মতো কোটিপতি টুর্নামেন্টেও কখনও কোনও স্টেডিয়ামে দর্শক নিরাপত্তা খতিয়ে দেখার জন্য পেশাদারী সংস্থা দিয়ে খুঁটিয়ে পরীক্ষা করানো হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy