হাসিখুশি মেহতাবরা। -সুদীপ্ত ভৌমিক
বেঙ্গালুরু এফসি-র বিরুদ্ধে খেলতে যাওয়ার চব্বিশ ঘণ্টা আগে চোটের জন্য ছিটকে গেলেন উইলিস প্লাজা।
আইজল এফসি-র বিরুদ্ধে আগের ম্যাচে কুঁচকিতে চোট পেয়ে ৬৬ মিনিটে উঠে গিয়েছিলেন প্লাজা। বুধবার মাঠে এলেও অনুশীলন করেননি ত্রিনিদাদ ও টোব্যাগোর জাতীয় দলের স্ট্রাইকার। সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্ক থেকেই চলে যান এমআরআই করাতে। সঙ্গে ছিলেন ডিফেন্ডার রাহুল ভেকে। তিনিও চোট পেয়েছিলেন আইজলের কৃত্রিম ঘাসের মাঠে।
এ সব দেখে ফুটবলারদের বাঁচাতে উদ্যোগী হয়েছেন ক্লাব কর্তারা। বারাসতের পরিবর্তে রবীন্দ্র সরোবর স্টেডিয়ামে আই লিগের ম্যাচ খেলার ভাবনা শুরু হয়েছে লাল-হলুদ শিবিরে। বুধবার সকালে ইস্টবেঙ্গলের অনুশীলন শুরু হওয়ার কথা ছিল সাড়ে আটটায়। কিন্তু ওয়েডসন আনসেলমে, মেহতাব হোসেন-দের নিয়ে কোচ মর্গ্যান মাঠে নামলেন প্রায় ঘণ্টা খানেক পরে! তার কারণ, আইজল এফসি-র বিরুদ্ধে হারের ধাক্কায় মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত ফুটবলারদের চাঙ্গা করতে ড্রেসিংরুমে ক্লাস নিচ্ছিলেন তিনি। রুদ্ধদ্বার বৈঠকের শেষে মর্গ্যান বললেন, ‘‘ফুটবলাররা বেঙ্গালুরুকে হারিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর শপথ নিয়েছে।’’
এই মুহূর্তে ১০ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে আই লিগের শীর্ষে ইস্টবেঙ্গল। এক ম্যাচ কম খেলে সমান পয়েন্ট নিয়ে গোল পার্থক্যে দ্বিতীয় স্থানে মোহনবাগান। কিন্তু আইজলের বিরুদ্ধে হারের পর তীব্র সমালোচনা দেখে হতাশ মর্গ্যান। বললেন, ‘‘আমরা এখনও লিগের শীর্ষে। দশটার মধ্যে মাত্র একটাই ম্যাচ হেরেছি। তা সত্ত্বেও এই ধরনের সমালোচনা দুর্ভাগ্যজনক।’’
বেঙ্গালুরুগামী কুড়ি সদস্যের দলে মর্গ্যান ফিরিয়েছেন জ্যাকিচন্দ সিংহ ও মহম্মদ রফিক-কে। তবে বাদ পড়ছেন অর্ণব মণ্ডল ও অবিনাশ রুইদাস।
শাস্তি হতে পারে আইজলের
শাস্তির মুখে আই লিগের দুই ক্লাব আইজল এফসি ও ডিএসকে শিবাজিয়ান্স। ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে হইচই ফেলে দিলেও জরিমানা হতে পারে পাহাড়ি দল আইজল এফসি-র। কারণ নিজেদের মাঠে ট্রেভর মর্গ্যানের টিমের ক্লোজ ডোর অনুশীলনের ছবি তোলার সময় আইজলের এক কর্তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন লাল-হলুদের কর্তারা। তাঁরা অভিযোগ জমা দেন ফেডারেশনের কাছে। এআইএফএফ তাদের শোকজ করেছে। অন্যদিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে খেলতে এসে প্রাক ম্যাচ সাংবাদিক সম্মেলন করেনি শিবাজিয়ান্স। যা লিগের নিয়মে অন্যায়। তাদেরও শোকজ করা হয়েছে। আই লিগের সিইও সুনন্দ ধর বুধবার দিল্লি থেকে ফোনে বললেন, ‘‘দুটো টিমের জবাব পেলেই তা শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সভায় পাঠানো হবে। ওরাই ঠিক করবে কি শাস্তি দেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy