সুনীল ছেত্রীদের হারানোর পরের দিন। বেঙ্গালুরুর হোটেলে ওয়েডসনদের জন্য ফুল আর শুভেচ্ছা। -নিজস্ব চিত্র
বেঙ্গালুরু এফসি-র বিরুদ্ধে দুরন্ত জয়ের চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই বিপর্যয় ইস্টবেঙ্গল শিবিরে! চোটের কারণে অন্তত দু’সপ্তাহের জন্য মাঠের বাইরে চলে গেলেন ওয়েডসন আনসেলমে!
শনিবার রাতে বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে বিশ্বমানের গোল করেন ওয়েডসন। কিন্তু ম্যাচের ৫৭ মিনিটে কুঁচকিতে চোট পেয়ে উঠে যান তিনি। বেঙ্গালুরু থেকে ফোনে ইস্টবেঙ্গল কোচ ট্রেভর জেমস মর্গ্যান বললেন, ‘‘শনিবার ওয়েডসন ঠিক মতো হাঁটতেই পারছিল না। এখন ব্যথা একটু কমেছে। কিন্তু ওর চোট কতটা গুরুতর সেটা কলকাতায় ফিরে ডাক্তারি পরীক্ষার পরেই বোঝা যাবে। তবে মাংসপেশি ছিঁড়ে গেলে অন্তত ছয় সপ্তাহের জন্য মাঠের বাইরে চলে যাবে ওয়েডসন।’’
লাল-হলুদ শিবিরের খবর, অন্তত দু’সপ্তাহ মাঠে নামার সম্ভাবনা নেই ওয়েডসনের। যার অর্থ, ৪ মার্চ শিলংয়ে লাজং এফসি-র বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে হাইতি মিডফিল্ডারকে ছাড়াই দল নামাতে হবে ব্রিটিশ কোচকে। ওয়েডসন-কে নিয়ে উদ্বেগের মধ্যেই মেহতাব হোসেনের সঙ্গে বেঙ্গালুরু এফসি কোচ আলবের্তো রোকার ঝামেলা নিয়ে বিতর্ক নয়া মোড় নিয়েছে। লাল-হলুদ টিম ম্যানেজার মণীশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, শনিবার রাতে বেঙ্গালুরুর কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে ম্যাচ শেষ হওয়ার পর রোকা নিগ্রহ করেছেন মেহতাব-কে। যদিও এই ঘটনার জন্য লাল-হলুদ মিডফিল্ডারকেই দায়ী করছেন মর্গ্যান!
শনিবার রাতে বেঙ্গালুরুর কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে ম্যাচের পর সাংবাদিক বৈঠকে ইস্টবেঙ্গল কোচ বলেছেন, ‘‘মেহতাবের আচরণ সমর্থনযোগ্য নয়। গ্যালারির সামনে গিয়ে বেঙ্গালুরুর সমর্থকদের ও যে ভাবে উত্তেজিত করেছে, তা ঠিক হয়নি।’’ সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘‘হারের হতাশা থেকেই হয়তো উত্তেজিত হয়ে পড়েছিলেন রোকা।’’ আর এ দিন সকালে বেঙ্গালুরু থেকে ফোনে মর্গ্যান বললেন, ‘‘ফুটবল মাঠে উত্তেজনা থাকবেই। কিন্তু সেটাকে বাড়িয়ে দেখার কারণ নেই।’’ মেহতাবও ঘনিষ্ঠমহলে বলেছেন, ‘‘ম্যাচের উত্তেজনা থেকেই এই ধরনের ঘটনা ঘটে। তবে আমার কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ নেই।’’
ইস্টবেঙ্গল টিম ম্যানেজারের ক্ষোভ অবশ্য কমেনি। তিনি বলছেন, ‘‘বেঙ্গালুরুর সমর্থকেরা ম্যাচের আগের দিনও অনুশীলন চলাকালীন আমাদের ফুটবলারদের উদ্দেশে কটূক্তি করেছিল। ম্যাচের দিন টিম বাস ঘিরে ধরে একই আচরণ করেছে। তা ছাড়া মেহতাবের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন ওদের কোচ। আমাদের কাছে পুরো ঘটনার ভিডিও ফুটেজও আছে। সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকে তা পাঠিয়ে দেব।’’
বেঙ্গালুরুর চিফ টেকনিক্যাল অফিসার মন্দার তামানের পাল্টা জবাব, ‘‘ম্যাচ কমিশনার মাইকেল অ্যান্ড্রু মাঠেই ছিলেন। তিনি পুরো ঘটনা দেখেছেন। এ বার ফেডারেশন সিদ্ধান্ত নেবে। আর ইস্টবেঙ্গল যখন দাবি করছে ওদের কাছে আমাদের বিরুদ্ধে প্রমাণ আছে, তা হলে সেগুলো ফেডারেশনকে দিক।’’ সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘‘কলকাতায় খেলতে গিয়ে আমাদেরও একই ধরনের সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। কিন্তু তার জন্য অভিযোগ জানাইনি। কারণ, ফুটবলকে কেন্দ্র করে বিশ্বের সর্বত্র এই ধরনের ঘটনা ঘটে।’’
ইস্টবেঙ্গল এ নিয়ে ফেডারেশনের কাছে সরকারি ভাবে অভিযোগ জানায় কি না, সেটাই এখন দেখার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy