লাল-হলুদের প্রাক্তনীরা সমর্থকদের বিক্ষোভের কারণগুলিকে উড়িয়ে দিতে পারছেন না। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
দুপুর থেকেই ময়দানে ভিড় জমছিল। বেলা গড়াতেই তা পরিণত হল তর্কাতর্কি, হাতাহাতি এবং তীব্র মারপিটে। পুলিশকে বাধ্য হয়ে লাঠিচার্জ করতে হল। গ্রেফতারও হলেন অনেকে।
হালফিলে ফুটবল নিয়ে সমর্থকদের মধ্যে এই ক্ষোভের আগুন দেখা যায়নি।
লাল-হলুদ জার্সি গায়ে খেলে যাওয়া প্রাক্তনীরা সমর্থকদের বিক্ষোভের কারণগুলিকে উড়িয়ে দিতে পারছেন না। তাঁদের মতে, বিক্ষোভের বদলে আলোচনা করে একটা রফায় আসা উচিত ছিল। তাহলে হয়তো এরকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়ানো যেত।
বুধবার ঘটনা নিয়ে আনন্দবাজার অনলাইন কথা বলেছিল চার প্রাক্তনীর সঙ্গে। তাঁরা যা বললেন:
সুরজিৎ সেনগুপ্ত: শ্রী সিমেন্ট এবং ক্লাবের মধ্যে ঝামেলা অনেক দিন ধরেই চলছে। এর আগেও একদিন প্রতিবাদ করতে দেখেছি সমর্থকদের। আজ সংখ্যাটা বেশি ছিল। তবে এই ঝামেলায় যদি ইস্টবেঙ্গল খেলতেই না পারে তাহলে সেটা দুর্ভাগ্যজনক হবে। সেটা কেউই চায় না। যদি এমন হয় যে দু’জনের মধ্যে আলোচনা করে ব্যাপারটার মীমাংসা হবে, তাহলেই ভাল হয়। আগে সই করে ফেললে আর কীসের আলোচনা? ক্লাবের দাবি অনুযায়ী আগে আলোচনা, তারপর সই, এই ভাবনাটা আমার অনেক গ্রহণযোগ্য মনে হয়েছে। আমার মনে হয়, সমর্থক বা ক্লাবকে খেলা থেকে দূরে না রাখা উচিত এবং যত দ্রুত সম্ভব মিটমাট করে নিয়ে খেলার মধ্যে ফিরে আসা উচিত।
সুকুমার সমাজপতি: এ ধরনের ঘটনা একেবারেই কাম্য নয়। এতদিন ধরে ব্যাপারটা ঝুলে আছে বলেই সমর্থকরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। প্রত্যেকেই চায় সই হয়ে যাক।
সমরেশ চৌধুরি: সদস্যদের নিয়েই তো ক্লাব। ওরাই এতদিন ক্লাবটাকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে। আমরা লাল-হলুদ জার্সি গায়ে খেলে ক্লাবকে সমৃদ্ধ করেছি। আমার মতে, যা হয়েছে একেবারেই কাম্য ছিল না। আমার খুব অসহায় লেগেছে। কষ্ট লেগেছে। ভাবছিলাম যাই গিয়ে বলি, যা হচ্ছে তা ঠিক নয়। কিন্তু পরিস্থিতির কথা বিচার করে সে রকম কিছু করতে পারিনি। সমর্থকদেরও বলি, ঘেরাওয়ের বদলে আলোচনা করে ব্যাপারটা সমাধান করা যেত না? সমর্থকরা শুধু ক্লাবকে ফুটবল খেলতে দেখতে চায়। সেটা হচ্ছে না বলেই এত সমস্যা।
গৌতম সরকার: এই পরিস্থিতি তৈরি হবে কেন? কেন সবাই মিলেমিশে আলোচনা করতে পারে না? কেন ক্ষমতার জোরে পদে জোর করে বসে থাকব? যারা টাকা দেবে তারা তো অধিকার চাইবেই। কর্তাদের বুঝতে হবে যে আগে ফুটবলকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের ঐতিহ্যের কথা সবার জানা। বাঙালি ফুটবলাররা স্বপ্ন দেখে ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগানে খেলার। ইস্টবেঙ্গল সেখানে খেলতে না পারলে অনেকের স্বপ্ন ভেঙে যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy