মেলবোর্ন টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার সেরা ক্রিকেটারের নাম যে প্যাট কামিন্স ছিল, সে বিষয়ে কারও সন্দেহ নেই। ব্যাট-বলে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে একমাত্র লড়াই করেছিলেন এই ক্রিকেটার। যার পরে বিভিন্ন মহল থেকে দাবি ওঠে, কামিন্সকেই অস্ট্রেলিয়ার নতুন অধিনায়ক বানিয়ে দেওয়া হোক। শেন ওয়ার্নের মতো কিংবদন্তিও কামিন্সের প্রশংসা করে বলেছিলেন, অস্ট্রেলিয়া ভবিষ্যতের অধিনায়ক পেয়ে গিয়েছে। কিন্তু কামিন্স নিজে বলছেন, তাঁকে অধিনায়ক বানানোর দাবি
ওঠাটাই হাস্যকর।
অস্ট্রেলীয় বোর্ডের ওয়েবসাইটে কামিন্স বলেছেন, ‘‘এই মুহূর্তে এ সব কথা ওঠার কোনও মানেই হয় না। আমাদের দলে পেইনি (টিম পেন) আছে। অধিনায়ক হিসেবে ও দারুণ কাজ করে চলেছে। আমার মনে হয়, দীর্ঘদিন পর্যন্ত এই দায়িত্বে
পেন-ই থাকবে।’’
ভারতের বিরুদ্ধে চলতি সিরিজে তিন টেস্টে ১৪ উইকেট নিয়েছেন কামিন্স, ২০.০৭ গড়ে। মেলবোর্ন টেস্টের পরে ওয়ার্ন টুইট করেন, ‘‘মেলবোর্ন টেস্টের শেষে কয়েকটা কথা বলতে চাই। বক্সিং ডে টেস্ট ম্যাচ দিন-রাতের হতে হবে। প্যাট কামিন্স হল সেই অলরাউন্ডার, যার খোঁজে ছিল অস্ট্রেলিয়া। আর কামিন্সই হল দলের ভবিষ্যৎ অধিনায়ক। এটাও মনে রাখতে হবে, অস্ট্রেলিয়ার সমস্যা শুধু ব্যাটিংই নয়। ২০১৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের পরিসংখ্যানও কিন্তু সে রকম ভাল কিছু নয়।’’
কামিন্স অবশ্য এ সব নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন না। তিনি স্পষ্ট বলেছেন, ‘‘আমি এখন নিজের খেলা নিয়েই বেশি ব্যস্ত আছি। বোলিং বা ব্যাটিং— যা-ই করি না কেন, নিজের সেরাটা দিয়েই করি। আর যখন সেটা করি না, তখন নিজেকে সুস্থ রাখার কাজে ব্যস্ত থাকি। তাই মনে হয় না, আমি ভাল একজন অধিনায়ক হতে পারব।’’ চোটের জন্য গত বছর ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজ এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দুটো টেস্ট খেলতে পারেননি কামিন্স।
ভবিষ্যতের অধিনায়ক হিসেবে কি কারও নাম মনে আসছে এই মুহূর্তে? কামিন্স নিজের কথা না বললেও তাঁর সতীর্থ বোলারের নাম করেছেন। তিনি জশ হেজলউড। কামিন্সের মন্তব্য, ‘‘জশ হেজলউডকে তো সহ-অধিনায়ক করা হয়েছে। হেজলউ়ড কিন্তু সব সময় খেলাটা নিয়ে ভাবছে। বিশেষ করে ফিল্ডিং করার সময়। তা ছাড়া যখন নেটে ব্যাট করে, তখনও ওর মাথায় অনেক ভাবনা ঘোরে। একজন বোলার অবশ্যই অধিনায়ক হতে পারে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy