রিচা ঘোষ, হৃষিতা বসু এবং তিতাস সাধু ভারতের বিশ্বকাপ জয়ের তিন কন্যা। —ফাইল চিত্র
বিশ্বকাপ জিতেছেন রিচা ঘোষ, তিতাস সাধু এবং হৃষিতা বসু। বাংলার তিন মেয়ে মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের সদস্য ছিলেন। বাংলার মুখ উজ্জ্বল করেছেন তিন কন্যা। তাঁদের পুরস্কৃত করবে রাজ্য। সোমবার জানালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রবিবার ইংল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জিতেছে ভারত। শেফালি বর্মা অধিনায়ক ছিলেন মেয়েদের দলের। সেই দলের হয়েই খেলেন রিচা, তিতাস এবং হৃষিতা। তাঁদের অভিনন্দন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। শুধু তাই নয় রিচাদের পুরস্কারও দেবেন তিনি। বাংলার তিন মেয়ে এবং কোচ রাজীব দত্তকে ৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মমতা। তিনি জানিয়েছেন যে, রিচারা ফিরে এলে তাঁদের সম্বর্ধিত করা হবে।
হৃষিতার বাড়ি হাওড়ার বালিটিকুরিতে। রবিবার ম্যাচ শেষ হওয়ার পরেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন পড়শিরা। সব মিলিয়ে কার্যত উৎসবের মেজাজে মেতে উঠেছে হৃষিতাদের ঠিকানা বিবেকানন্দ পল্লি। তাঁর মা বলেন, ‘‘মেয়ে তো মোটামুটি নিশ্চিতই ছিল যে, ওরাই চ্যাম্পিয়ন হবে। মেয়ের আত্মবিশ্বাস দেখে সত্যিই ভাল লাগছিল। কিন্তু ভীষণ টেনশন হচ্ছিল। এই মুহূর্তটার জন্যই অপেক্ষা করছিলাম।’’
ম্যাচের সেরা তিতাস সাধুর হুগলির বাড়ির সামনে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস দেখা যায় রবিবার। ফাইনাল ম্যাচে মেয়ের এমন পারফরম্যান্স দেখে গর্বে বুক ভরে উঠেছে বাবা রণদীপ সাধুর। তিনি জানাচ্ছেন, বড় ম্যাচে তাঁর মেয়ে বরাবরই ফল করেন। রণদীপ এক প্রকার নিশ্চিতই ছিলেন, এই ম্যাচেও মেয়ে ভালই খেলবেন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সিনিয়র দলে খেলে ফেলেছেন রিচা। হরমনপ্রীত কৌরদের দলের সদস্য অনূর্ধ্ব-১৯ দলেরও গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। তাঁর বাড়ি শিলিগুড়িতে। সকালেই বাড়ির সমস্ত কাজ সেরে টিভির সামনে বসেছিলেন রিচার মা স্বপ্না ঘোষ। ভারতের জয়ের পরে উল্লাসে ফেটে পড়লেন বাড়ির সবাই। চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ালেন রিচার মা। খানিক পরেই শুরু হল মিষ্টি বিলির পর্ব। তিন কন্যার বিশ্বকাপ জয়ের নেপথ্যে রয়েছেন সেই দলের কোচ রাজীবও। রাজ্য সরকারের তরফে তাঁকেও পুরস্কৃত করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy