ব্যর্থতা সত্ত্বেও নিজের অধিনায়কত্বের সময়কাল নিয়ে গর্ব রয়েছে কোহলির। ফাইল ছবি
দীর্ঘ দিন ভারতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন তিনি। সব ফরম্যাটেই নেতৃত্ব দিয়েছেন। কিন্তু সেমিফাইনাল বা ফাইনালে উঠেই দৌড় থেমে গিয়েছে। হাতে ওঠেনি ট্রফি। আরসিবি-র পডকাস্টে এসে সেই নিয়ে অভিমানী বিরাট কোহলি। বললেন, তাঁকে কোনও কোনও মহল থেকে ‘ব্যর্থ অধিনায়ক’ হিসাবেও দেগে দেওয়া হয়েছিল।
কোহলি বলেছেন, “জেতার জন্যেই প্রতিযোগিতায় নামি। ২০১৭-র চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নেতৃত্ব দিয়েছিলাম। ২০১৯-এর বিশ্বকাপে অধিনায়ক ছিলাম। তার পরে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ এবং ২০২১-এর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও অধিনায়কত্ব করেছি। তিন-চারটে আইসিসি প্রতিযোগিতার পরেই আমাকে ব্যর্থ অধিনায়ক বলা হতে থাকে।”
তা সত্ত্বেও নিজের অধিনায়কত্বের সময়কাল নিয়ে গর্ব রয়েছে কোহলির। জানিয়েছেন, দলের মধ্যে যে মানসিকতার বদল এনেছিলেন, তা নিয়ে খুশি। বলেছেন, “অধিনায়ক হিসাবে আমি কোনও দিন নিজের বিচার নিজে করিনি। বরাবর দলের বিচার করেছি। দলে যে পরিবর্তন হয়েছিল, সেটা নিয়ে গর্ববোধ করি। একটা প্রতিযোগিতায় কিছু সময় ধরে হয়। কিন্তু দলের মানসিকতার পরিবর্তন আনতে অনেক সময় লাগে। তার জন্য ধারাবাহিকতা থাকা দরকার। প্রতিযোগিতা জেতার থেকেও সেটা বড় বিষয় বলে আমি মনে করি।”
কোহলির সংযোজন, “আমি ক্রিকেটার হিসাবে বিশ্বকাপ জিতেছি, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছি। পাঁচ বার বিশ্বের এক নম্বর টেস্ট দল হয়েছি। সাফল্যই যদি বিচার করেন, তা হলে দেখবেন অনেক প্রতিভাবান ক্রিকেটারও বিশ্বকাপ জেতেনি।”
একই পডকাস্টে ধোনির সম্পর্কেও অনেক কথা বলেছেন কোহলি। বলেছেন, “ক্রিকেটজীবনের কঠিন সময়ে আমার সবচেয়ে বড় শক্তি ছিল অনুষ্কা। গোটা সময়টাই আমার সঙ্গে কাটিয়েছে এবং চোখের সামনে দেখেছে প্রতিটা অনুভূতি, কোন অবস্থার মধ্যে দিয়ে আমি গিয়েছি, কী কী আমার সঙ্গে হয়েছে। ছোটবেলার কোচ এবং পরিবার ছাড়া যে মানুষটা আমার সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে, সে মহেন্দ্র সিংহ ধোনি।”
টানা ১১ বছর ভারতের সাজঘরে ধোনির সঙ্গে ছিলেন কোহলি। ভারতের সেরা অধিনায়ক হিসাবে ধোনিকে মেনে নিতেও কোনও দ্বিধা নেই তাঁর মনে। বলেছেন, “ধোনির সঙ্গে সহজে যোগাযোগ করাই যায় না। সে নিজে থেকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। যে কোনও দিন ফোন করলে ৯৯ শতাংশ নিশ্চিত থাকতে পারেন যে ও ফোন ধরবে না। কারণ ও ফোনের দিকেই তাকায় না। সে কিনা দু’বার আমাকে নিজে থেকে মেসেজ করেছে। ও আমাকে বলেছিল, ‘তোমাকে শক্তিশালী হতে হবে। নিজেকে এতটা শক্তিশালী করতে হবে, যাতে লোকে এটা না জিজ্ঞাসা করে যে তুমি কেন আছো?’ ধোনির ওই কথা আমাকে ধাক্কা দেয়। কারণ আমি নিজেকে এত দিন আত্মবিশ্বাসী, মানসিক ভাবে শক্তিশালী মানুষ হিসেবেই দেখতাম যে কিনা যে কোনও পরিস্থিতিতে সমাধানের একটা পথ খুঁজে পায়।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy