শাকিবকে আউট করে আফ্রিদির কীর্তি ছুঁয়েছেন শাদাব। ছবি: টুইটার।
শাদাব খানের বলে শাকিব আল হাসানের আউট হওয়া নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত। অথচ বাংলাদেশের অধিনায়কের উইকেট নিয়েই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নতুন মাইলফলক স্পর্শ করেছেন পাকিস্তানের সহ-অধিনায়ক।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ২ উইকেট নিয়েছেন পাক অলরাউন্ডার। এই ২ উইকেটের সুবাদেই ২০ ওভারের ক্রিকেটে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হয়েছেন শাদাব। প্রাক্তন অলরাউন্ডার শাহিদ আফ্রিদির সর্বোচ্চ ৯৭ উইকেটের রেকর্ড স্পর্শ করেছেন সাদাব। এত দিন পর্যন্ত আফ্রিদি ছিলেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। বাংলাদেশ ম্যাচের পর তাঁর রেকর্ডে ভাগ বসালেন শাদাব। ৮২টি টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে ৯৭টি উইকেট নিলেন শাদাব। আফ্রিদি সমসংখ্যক উইকেট নিয়েছিলেন ৯৮টি ম্যাচ খেলে। শাদাব ওভার প্রতি রান দিয়েছেন ৭.০৪। আফ্রিদি ওভার প্রতি খরচ করেছিলেন ৬.৬১ রান।
বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে একটি উইকেট নিতে পারলেই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হয়ে যাবেন এই লেগ স্পিনার। রবিবারের ম্যাচে শাদাব প্রথমে আউট করেন বাংলাদেশের সৌম্য সরকারকে। তার পরের বলেই সাজঘরে ফিরিয়ে দেন শাকিবকে। পর পর দু’বলে ২ উইকেট নেওয়ায় হ্যাটট্রিকের সুযোগ পান শাদাব। সেই সুযোগ কাজে লাগাতে না পারলেও নতুন মাইলফলক স্পর্শ করেন। পাক অলরাউন্ডার বল হাতে যে ছন্দে রয়েছেন, তাতে চলতি বিশ্বকাপেই পাকিস্তান ক্রিকেটে নতুন রেকর্ড গড়তে পারেন।
রবিবার শাদাবের বল শাকিবের ব্যাটে লেগে পায়ে লাগে। মাঠের আম্পায়ার বাংলাদেশ অধিনায়ককে আউট ঘোষণা করার পর বিস্মিত শাকিব ডিআরএস চান। কিন্তু তৃতীয় আম্পায়ারও এলবিডব্লুর সিদ্ধান্তই বহাল রাখেন। যা নিয়ে মাঠেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন শাকিব। যদিও এই আউট ঘিরে বিতর্ক মানতে চাননি পাকিস্তানের সহ-অধিনায়ক। বাংলাদেশের ইনিংসের পরেই তিনি বলে দেন, ‘‘বিতর্কের কী আছে! আম্পায়াররা আউট দিয়েছেন। সুতরাং শাকিব আউট।’’ অর্থাৎ, আফ্রিদিকে ছুঁয়ে ফেলার উইকেট ঘিরে তৈরি হওয়া বিতর্ককে আমল দিতে চাননি ২৪ বছরের ক্রিকেটার।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দ্রুততম ১০০ উইকেট নেওয়ার ক্ষেত্রেও পাক বোলারদের মধ্যে এগিয়ে রয়েছেন শাদাব। ২০ ওভারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট এখনও পর্যন্ত ১০০ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব রয়েছে টিম সাউদি, শাকিব, রশিদ খান, ইশ সোধি এবং লসিথ মালিঙ্গার।
শাদাবকেই এখন পাকিস্তানের সেরা অলরাউন্ডার বলা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত দেশের হয়ে ছ’টি টেস্ট, ৫৩টি এক দিনের ম্যাচ এবং ৮২টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। বাবর আজ়মের দলের ভারসাম্য বজায় রাখার ক্ষেত্রেও তাঁর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy