দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে উচ্ছ্বাস নেদারল্যান্ডস ক্রিকেটারদের। ছবি: আইসিসি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আবার অঘটন। নেদারল্যান্ডসের কাছে ১৩ রানে হেরে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা। গ্রুপের শেষ ম্যাচে টেম্বা বাভুমারা হেরে ছিটকে গেলেন বিশ্বকাপ থেকেই। পাকিস্তান-বাংলাদেশ ম্যাচে যারা জিতবে তারাই চলে যাবে শেষ চারে। প্রথমে ব্যাট করে নেদারল্যান্ডস করে ৪ উইকেটে ১৫৮ রান। জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস শেষ হয়ে গেল ৮ উইকেটে ১৪৫ রানে।
নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে জিতলেই বিশ্বকাপের শেষ চারে চলে যেতেন বাভুমারা। কিন্তু বড় প্রতিযোগিতার গুরুত্বপূর্ণ সময় হেরে যাওয়ার পুরনো অভ্যাস আবার দেখা গেল দক্ষিণ আফ্রিকার। এই বিশ্বকাপেও চোকার্স তকমা ঘোচাতে পারলেন না বাভুমাররা। তাতে অবশ্য নেদারল্যান্ডসের কৃতিত্ব কোনও অংশেই কমছে না। বরং ক্রিকেটের সব বিভাগেই ভাল পারফরম্যান্স করে রবিবারের প্রথম ম্যাচ জিতে নিলেন ডাচরা।
টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাভুমা। তবু দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিং আক্রমণ সামলে নেদারল্যান্ডস লড়াই করার মতো রান তুলল। নেদারল্যান্ডসের কোনও ব্যাটারই খুব বড় রান না পেলেও দলগত চেষ্টাতেই দেড়শো রানের গণ্ডি পার করে তারা। ওপেনার স্টিফেন মাইবার্গ ৩০ বলে ৩৭ রান করেন। তিনি মারলেন সাতটি চার। অন্য ওপেনার ম্যাক্স ও’ডাউডের ব্যাট থেকে এল ৩১ বলে ২৯ রানের ইনিংস। তিনি মারলেন একটি করে চার এবং ছয়। তিন নম্বরে নেমে আগ্রাসী মেজাজে ব্যাট করলেন টম কুপার। তাঁর ১৯ বলে ৩৫ রানের ইনিংসে রয়েছে দু’টি করে চার এবং ছয়। চার নম্বরে নামা কলিন অ্যাকারমান খেললেন দায়িত্বশীল ইনিংস। ২৬ বলে ৪১ রান করে অপরাজিত থাকলেন তিনি। মারলেন তিনটি চার এবং দু’টি ছক্কা। শেষ পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে ২২ গজে ছিলেন নেদারল্যান্ডসের অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস। ৭ বলে ১২ রান করেন তিনি।
কিছুটা কেশব মহারাজ ছাড়া নেদারল্যান্ডসের ব্যাটারদের কেউই সমস্যায় ফেলতে পারলেন না। তিনি ২৭ রান দিয়ে ২ উইকেট নিলেন। তিনি ছাড়া অনরিখ নোখিয়া ১০ রানে ১ উইকেট এবং এডেন মার্করাম ১৬ রানে ১ উইকেট নিয়েছেন।
১৫৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত ব্যবধান উইকেট হারাল দক্ষিণ আফ্রিকা। দুই ওপেনার কুইন্টন ডি’কক এবং বাভুমা দ্রুত ফেরার পরেই চাপ তৈরি হয়। সেই চাপ ম্যাচের শেষ পর্যন্ত সামলাতে পারল না দক্ষিণ আফ্রিকা। কুইন্টন ১৩ বলে ১৩ রান এবং বাঙুমা ২০ বলে ২০ রান করলেন। তিন নম্বরে নামা রিলি রুসো করলেন ১৯ বলে ২৫ রান। মার্করাম (১৭), ডেভিড মিলার (১৭), হেনরিখ ক্লাসেন (২১), ওয়েন পার্নেল (শূন্য), কেশব মহারাজরা (১৩) কেউই দলকে ব্যাট হাতে নির্ভরতা দিতে পারলেন না। শেষ পর্যন্ত কাগিসো রাবাডা (৯) এবং নখিয়া (৪) উইকেটে থাকলেও দলকে জেতাতে পারেননি।
নেদারল্যান্ডসের বোলাররা শুরু থেকেই চাপে রাখলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটারদের। তাঁরা দেখিয়ে দিলেন সঠিক পরিকল্পনা মতো বল করতে পারলে বড় দলকেও বেকায়দায় ফেলে দেওয়া যায়। নেদারল্যান্ডসের সফলতম বোলার ব্র্যান্ডন গ্লোভার মাত্র ৯ রান খরচ করে ৩ উইকেট নিলেন। ফ্রেড ক্লাসেন ২০ রানে ২ উইকেটন এবং ব্যাস ডি’লিড ২৫ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন। ৩৩ রান দিয়ে ১ উইকেট জোরে বোলার পল ভ্যান মিকিরেনের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy