রাহুলের থ্রোয়ে লিটনের আউট ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। ছবি: পিটিআই
বুধবার ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচে এক সময় জেতার জায়গায় ছিল বাংলাদেশ। মাঝে বৃষ্টি এসে ছন্দ নষ্ট করে দেয় বাংলাদেশের। তার পরেই কেএল রাহুলের দুরন্ত থ্রোয়ে ফিরে যান ঝড়ের গতিতে ব্যাট করতে থাকা লিটন দাস। অনেকেই সেটাকে ম্যাচের মোড় ঘোরানো মুহূর্ত বলছেন। রাহুল নিজে কী বলছেন সেই সম্পর্কে?
বিসিসিআই টিভিতে যুজবেন্দ্র চহালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাহুল জানিয়েছেন, আলাদা করে কোনও অনুশীলন তিনি করেননি। বরাবরের মতোই ফিল্ডিং ড্রিল করেছেন। রাহুলের কথায়, “দ্বিতীয় বলে রান আউট হয়ে যায় লিটন। তবে আমার মতে, বৃষ্টির পরে আমরা অনেক বেশি চাঙ্গা হয়ে নেমেছিলাম। প্রত্যেকে জেতার জন্য ফুটছিলাম। সবাই জানতাম ম্যাচটা আমাদের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আমি ভাগ্যবান যে, থ্রো-টা সোজা উইকেটে গিয়ে লেগেছে। তখনই মনের মধ্যে বিশ্বাস তৈরি হয় যে ম্যাচটা আমরা জিততে পারি।”
চহালের প্রশ্নের সামনে পড়েছেন আরশদীপ সিংহও। পয়েন্টে দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়ে তিনি ফিরিয়ে দেন ইয়াসির আলিকে। আরশদীপ ক্যাচ ধরার আগে দেখা গিয়েছিল, রোহিত শর্মা দু’হাত জোড় করে প্রার্থনা করছেন। সেই প্রসঙ্গ তোলেন চহাল। উত্তরে আরশদীপ মজা করে বলেন, “এক হাতে বা এক আঙুলে ক্যাচ ধরা তো তোমার কাজ। আমি দু’হাতেই ধরতে চেয়েছিলাম। আমি আগেই জানতাম থার্ডম্যানের থেকে পয়েন্টে ভাল ফিল্ডিং করি। ভাবছি এ বার রোহিত ভাইকে গিয়ে সে কথা বলে দেব।”
বুধবারের ম্যাচ নিয়ে অবশ্য ইতিমধ্যেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ফিল্ডিং করার সময় সপ্তম ওভারে বিরাটের বল ছোড়ার অভিনয় নিয়েই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। অক্ষর পটেলের বলে ডিপ অফ-সাইডে বল ঠেলে দিয়ে রান নিতে যান লিটন দাস। কোহলি দাঁড়িয়েছিলেন পয়েন্টে। আরশদীপ বল ছুড়ে ফেরত পাঠানোর সময়েই কোহলি বল কুড়িয়ে ছুড়ে দেওয়ার ভঙ্গি করেন। তা নিয়েই বিরাটের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ তুলেছেন বাংলাদেশের নুরুল হাসান।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কর্তা জালাল ইউনুস বলেন, “কিছু হলেই যে বোর্ডের মাধ্যমে অভিযোগ করা হবে, ব্যাপারটা এমন নয়। এটা তো স্কুল নয় যে, আপনি গিয়ে হেডমাস্টারের কাছে অভিযোগ করবেন। পরিস্থিতিটা সে রকম না। তবে আমরা যেন সঠিক জায়গায় গিয়ে কথা বলতে পারি, সেটা মাথায় আছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy