Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Virat Kohli

‘বিরাট প্রতারণা’! কোহলির বিরুদ্ধে ভুয়ো ফিল্ডিংয়ের অভিযোগ তুলে বিতর্ক বাড়াল বাংলাদেশ

ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক বিরাট কোহলির বিরুদ্ধে ‘ভুয়ো ফিল্ডিং’ করার অভিযোগ আনল বাংলাদেশ। তাদের দাবি, শাস্তি হিসাবে পাঁচ রান পাওয়া উচিত ছিল বাংলাদেশের।

ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক বিরাট কোহলির বিরুদ্ধে ‘ভুয়ো ফিল্ডিং’ করার অভিযোগ আনল বাংলাদেশ।

ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক বিরাট কোহলির বিরুদ্ধে ‘ভুয়ো ফিল্ডিং’ করার অভিযোগ আনল বাংলাদেশ। ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২২ ১০:৩৪
Share: Save:

বুধবার ম্যাচের পরেই বিরাট কোহলির বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ আনল বাংলাদেশ। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়কের বিরুদ্ধে ‘ভুয়ো ফিল্ডিং’ করার অভিযোগ আনল বাংলাদেশ। তাদের দাবি, শাস্তি হিসাবে পাঁচ রান পাওয়া উচিত ছিল বাংলাদেশের। ঘটনাচক্রে, ভারতের কাছে ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে পাঁচ রানেই হেরেছে বাংলাদেশ। ফলে আম্পায়াররা শাস্তি হিসাবে ওই রান দিলে ম্যাচের ফলাফল অন্য রকম হতে পারত।

ঠিক কী হয়েছে ঘটনাটা?

বাংলাদেশের ইনিংসের সপ্তম ওভারে ঘটেছে এই ঘটনা। অক্ষর পটেলের বলে ডিপ অফ-সাইডে বল ঠেলে দিয়ে রান নিতে যান লিটন দাস। কোহলি দাঁড়িয়েছিলেন পয়েন্টে। আরশদীপ বল ছুড়ে ফেরত পাঠানোর সময়েই কোহলি বল কুড়িয়ে ছুড়ে দেওয়ার ভঙ্গি করেন। মাঠের দুই আম্পায়ার মারাইস ইরাসমাস এবং ক্রিস ব্রাউনের নজর এড়িয়ে যায় এই ঘটনা। তৃতীয় আম্পায়ারও আপত্তি করেননি। বাংলাদেশের দুই ব্যাটারের তরফেও কোনও প্রতিবাদ আসেনি।

আইসিসির ৪১.৫ ধারা অনুযায়ী, ব্যাটারকে কোনও ভাবে বাধা দিলে বা বিক্ষিপ্ত করার চেষ্টা করলে আম্পায়াররা ঘটনার গুরুত্ব বুঝে বিপক্ষ দলকে পাঁচ রান শাস্তি হিসাবে দিতে পারেন। এ ক্ষেত্রে মাঠের দুই আম্পায়ার মনে করেননি, কোহলি কোনও অপরাধ করেছেন। তাই শাস্তিও দেওয়া হয়নি।

তবে বাংলাদেশ শিবিরে এই নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। ম্যাচের পর মিক্সড জ়োনে কোহলির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, “আমরা সবাই জানতাম মাঠ ভিজে ছিল। তার মধ্যে ভুয়ো থ্রো করার চেষ্টা করা হয়েছে। প্রত্যেকে ওই ঘটনা দেখেছে। আমাদের পাঁচ রান পাওয়া উচিত ছিল। তা হলে আমাদের দিকে ম্যাচ ঘুরে যেত। দুর্ভাগ্যবশত, সেটা হয়নি।”

ভারত বনাম বাংলাদেশ ম্যাচে আম্পায়ারিং নিয়ে তৃতীয় বিতর্ক তৈরি হল। ভারতের ইনিংসের ১৬তম ওভার চলাকালীন কোহলি অভিযোগ করেন হাসান মাহমুদের বিরুদ্ধে। কোহলির দাবি ছিল, ওভারে দ্বিতীয় বাউন্সার দিয়েছেন হাসান। আম্পায়ার ইরাসমাস সেটি ‘নো বল’ ডাকেন। মাঠে আম্পায়ারের সঙ্গে কিছু ক্ষণ তর্ক করলেও পরে কোহলি এবং বাংলাদেশ অধিনায়ক শাকিব আল হাসান একে অপরকে জড়িয়ে ধরেন।

কোহলির ভুয়ো থ্রোয়ের ঘটনার পরেই বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ থাকে। তার পরেই দ্বিতীয় বিতর্ক তৈরি হয়। বৃষ্টি থামার পরেই আম্পায়াররা খেলা শুরু করতে চাইছিলেন। শাকিব প্রথমে হাঁটু মুড়ে বসে মাটি কতটা ভিজে রয়েছে সেটা দেখার চেষ্টা করেন। এর পর আম্পায়ারদের সঙ্গে খেলা শুরু করা নিয়ে কথা বলতে থাকেন। পরে অবশ্য সেই নিয়ে মুখ খোলেননি শাকিব।

ম্যাচের পর বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ““ভারতের সঙ্গে খেললে এমনই হয়। আমরা জয়ের খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছিলাম। কিন্তু শেষ কাজটা করতে পারলাম না। দারুণ ম্যাচ হল। দর্শকরাও নিশ্চয় খুব আনন্দ পেয়েছেন। দুটো দলও খেলে খুব আনন্দ পেয়েছে। ম্যাচ শেষে কেউ না কেউ তো জিতবেই। লিটন (দাস) খুব ভাল ব্যাট করেছে। সম্ভবত ও আমাদের দলের সেরা ব্যাটার। মনে হয়েছিল রানটা তাড়া করে ফেলতে পারব।”

তবে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি মেজাজ হারান। বৃষ্টির পরেই খেলা শুরু করা উচিত ছিল কি না, তা নিয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন। তাঁর সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন শাকিব।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy