সচিন তেন্ডুলকর এবং মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। —ফাইল চিত্র।
সচিন তেন্ডুলকরের কাছে দ্বিতীয় বার অধিনায়ক হওয়ার প্রস্তাব গিয়েছিল। সেটা ২০০৭ সাল। সচিন নিজেই রাজি হননি। পরামর্শ দিয়েছিলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনির হাতে দায়িত্ব দেওয়ার।
একটি অনুষ্ঠানে সচিন বলেন, “আমাকে যখন নেতৃত্ব দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়, সেই সময় আমি ইংল্যান্ডে। আমি বলেছিলাম যে, দলে এক তরুণ ক্রিকেটার রয়েছে, সে ভাল নেতৃত্ব দিতে পারবে বলে আমার মনে হয়। স্লিপে ফিল্ডিং করার সময় আমি তার সঙ্গে প্রায়ই কথা বলতাম। জিজ্ঞেস করতাম ম্যাচের পরিস্থিতি সে কী ভাবে দেখছে। সেই সময় রাহুল দ্রাবিড় অধিনায়ক ছিল। কিন্তু ধোনির মধ্যে অধিনায়ক হওয়ার মতো পরিণত বোধ আমি দেখেছিলাম। খুব ঠান্ডা মাথা ওর। ভাল অধিনায়ক নিজের দলকে বিপক্ষের থেকে এক ধাপ এগিয়ে রাখতে পারে। কেউ যদি আবেগের বশে সিদ্ধান্ত না নিয়ে চিন্তা ভাবনা করে, তা হলে দলের জন্য সেটা খুবই বড় প্রাপ্তি। ১০ বলে ১০ উইকেট আসে না। পরিকল্পনা করতে হয়। সেই ক্ষমতা আমি ধোনির মধ্যে দেখেছিলাম।”
সচিনের পরামর্শে ধোনি ভারতীয় দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর বাকিটা ইতিহাস।
ভারতকে দু’টি বিশ্বকাপ (টি-টোয়েন্টি এবং এক দিনের) এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি এনে দিয়েছেন ধোনি। ২০০৭ সালে সাদা বলের অধিনায়ক করা হয় ধোনিকে। পরের বছরই টেস্ট দলের দায়িত্বও দেওয়া হয় তাঁকে। ধোনির নেতৃত্বেই ভারতীয় দল আইসিসি প্রতিযোগিতায় সব থেকে বেশি সাফল্য পেয়েছে।
২০০৮ সালে ধোনির নেতৃত্বেই অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে একটি ত্রিপাক্ষিক সিরিজ় ভারত জিতেছিল। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর টেস্টে এক নম্বর দল হয়েছিল ভারত। তাঁর নেতৃত্বেই ২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছিল ভারত। ২০১৪ সালে টেস্ট থেকে অবসর নেন ধোনি। সেই সময় অধিনায়কের দায়িত্ব তাঁর কাঁধ থেকে চলে যায় বিরাট কোহলির কাছে। ২০১৭ সালে সাদা বলের নেতৃত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন ধোনি। ভারতের হয়ে শেষ বার ধোনি খেলেছিলেন ২০১৯ সালের এক দিনের বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে। সেই ম্যাচ হেরে গিয়েছিল ভারত। ২০২০ সালের ১৫ অগস্ট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছিলেন ধোনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy