চ্য়াম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে আবার সংঘাতে ভারত এবং পাকিস্তানের ক্রিকেট বোর্ড। গ্রাফিক: সৌভিক দেবনাথ।
আগামী বছরের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে নতুন করে সংঘাতের আবহ তৈরি হচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) এবং পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) মধ্যে। নিরাপত্তা নিয়ে আগের অবস্থান বজায় রেখে পাকিস্তানে দল না পাঠানোর ব্যাপারে অনড় বিসিসিআই। কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের আপত্তিকে ঢাল হিসাবে তুলে ধরেছেন ভারতীয় ক্রিকেট কর্তারা। তার প্রেক্ষিতে ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞার লিখিত নথি চাইল পিসিবি।
আগামী বছর ফেব্রুয়ারি-মার্চে হওয়ার কথা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) জানিয়েছে পাকিস্তানেই হবে প্রতিযোগিতা। ভারতের আপত্তি নিয়ে সরকারি ভাবে আইসিসি কিছু জানায়নি। অন্য দিকে, আয়োজক পাকিস্তান আইসিসির উপর চাপ বজায় রেখেছে। পিসিবি কর্তাদের বক্তব্য, বাকি সব দেশ পাকিস্তানে খেলতে রাজি থাকলে ভারতের আপত্তিকে কেন আলাদা করে গুরুত্ব দেওয়া হবে? একই সঙ্গে ভারতকে চাপে রাখার চেষ্টা করছেন পাকিস্তানের ক্রিকেট কর্তারা। পিসিবির এক কর্তা বলেছেন, ‘‘ভারত সরকার যদি পাকিস্তানে দল পাঠানোর অনুমতি না দেয়, তা হলে তার লিখিত নথি থাকা উচিত। আইসিসির উচিত সেই নথি দিতে বাধ্য করা।’’ পিসিবির ওই কর্তার পরিষ্কার বক্তব্য, বিসিসিআইকে নিজেদের দাবির পক্ষে প্রমাণ দিতে হবে। তিনি আরও বলেছেন, ‘‘আমরা চাই প্রতিযোগিতা শুরুর অন্তত পাঁচ-ছ’মাস আগে বিসিসিআই লিখিত ভাবে আইসিসিকে জানাক, তারা কী চায়।’’
গত বছর রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের এশিয়া কাপ খেলতে পাকিস্তানে পাঠায়নি বিসিসিআই। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) ভারতীয় দলের ম্যাচগুলি-সহ প্রতিযোগিতার ফাইনাল আয়োজন করেছিল শ্রীলঙ্কায়। আগামী বছরের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি তেমন হাইব্রিড মডেলে করার কথা এখনও জানায়নি আইসিসি। আপাতত পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন আইসিসি কর্তারা।
আইসিসিকে চাপে রাখতে পিসিবি কর্তারা জানিয়ে দিয়েছেন, ভারতীয় দলের ম্যাচগুলি অন্য দেশে আয়োজন করতে হলে অতিরিক্ত খরচের দায় তাঁরা নেবেন না। পিসিবির নতুন দাবি নিয়ে আইসিসি বা বিসিসিআইয়ের পক্ষে কোন মন্তব্য করা হয়নি। যদিও আইসিসি সূত্রে খবর, শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হাইব্রিড মডেলে হলে অতিরিক্ত ব্যয় নিয়ে পাক কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান সূত্র খোঁজা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy