চাকরিহারা শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীদের এক দিনের অবস্থান প্রতিবাদ শেষ হল দিল্লির যন্তরমন্তরে। বুধবার রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর দফতরে স্মারকলিপি দিলেন যোগ্য চাকরিহারারা। আন্দোলনকারীদের তরফে জানানো হয়েছে, ৭০ জন যোগ্য চাকরিহারা এই অবস্থানে অংশগ্রহণ করেছেন।
বুধবার এই অবস্থান-আন্দোলনে সংহতি জানাতে গিয়েছিলেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় এবং জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক জন অধ্যাপক। গিয়েছিলেন ওই দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু পড়ুয়াও। যোগ্য চাকরিহারাদের দাবি, যোগ্যদের চাকরি যাওয়ার দায়িত্ব সরকারের।
আরও পড়ুন:
তবে অধ্যাপক-পড়ুয়াদের সংহতি পেলেও আইনি লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন যোগ্য চাকরিহারারা। তাঁদের ‘পাখির চোখ’ বৃহস্পতিবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদের করা ক্লারিফিকেশন পিটিশন এর উপর। কারণ, এর উপরেই নির্ভর করবে যোগ্য চাকরিহারারা চলতি মাসের বেতন পাবেন কি না। আন্দোলনকারী মঞ্চের আহ্বায়ক চিন্ময় মণ্ডল বলেন, ‘‘যে সমস্ত শিক্ষানুরাগী আমাদের মঞ্চে এসেছিলেন, তাঁদের সকলেই একমত, যোগ্যদের এ ভাবে বাদ দেওয়া যায় না। আর এর জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারকেই দায়ী করেছেন তাঁরা।’’ তিনি জানান, বুধবার রাত ১১টা নাগাদ ফের বাস ছাড়ছে কলকাতার উদ্দেশে।
- ২০১৬ সালের এসএসসিতে নিয়োগের পুরো প্যানেল বাতিল করল সুপ্রিম কোর্ট। বলল, পুরো প্রক্রিয়ায় কারচুপি করা হয়েছে। ওই নিয়োগপ্রক্রিয়ার কোনও বিশ্বাসযোগ্যতা নেই।
- এসএসসি-র শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। কলকাতা হাই কোর্ট এই সংক্রান্ত শুনানির পর ২০১৬ সালের সম্পূর্ণ নিয়োগপ্রক্রিয়াই বাতিল করে দিয়েছিল।
- রাজ্যের ২৬ হাজার চাকরি (আদতে ২৫,৭৫২) বাতিল করে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ জানিয়েছে, তিন মাসের মধ্যে নতুন নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।
-
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে সংশোধন এসএসসির, জেনারেলের মতোই আবেদন করতে হবে ওবিসিদের
-
আদালত অবমাননার আশঙ্কা, তাই নির্দেশ মতো পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি আইনি লড়াই চলবে, বললেন মমতা
-
উত্তরপত্রে কারচুপি থাকলে পরীক্ষায় বসতে পারবেন না, ‘অযোগ্য’দের আর্জি খারিজ করে জানাল সুপ্রিম কোর্ট
-
থানায় হাজিরা দিতেই হবে দুই চাকরিহারা শিক্ষককে! বিকাশ ভবনের সামনে লোকসংখ্যাও কমাতে হবে, বলল হাই কোর্ট
-
‘র্যাঙ্ক জাম্প’ করে যাঁরা চাকরি পান, তাঁরা পরীক্ষায় বসতে পারবেন না, ‘অযোগ্য’দের আবেদন খারিজ সুপ্রিম কোর্টে