সমালোচনায় বিদ্ধ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচে ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের সফলতম বোলার আবরার আহমেদ। ১০ ওভার বল করে ২৮ রান দিয়েছেন ২৬ বছরের লেগ স্পিনার। ২২ গজে থিতু হয়ে যাওয়া শুভমন গিলকে আউট করেছেন প্রতিযোগিতার অন্যতম সেরা বলে। তবু ক্রিকেটপ্রেমীদের একাংশ আবরারের সমালোচনায় মুখর। ওয়াসিম আক্রমের মতো প্রাক্তন ক্রিকেটারও বিরক্ত তাঁর উপর।
পাকিস্তানের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে এক মাত্র বিশেষজ্ঞ স্পিনার আবরার। দেশের হয়ে এখনও পর্যন্ত ১০টি টেস্ট, ন’টি এক দিনের ম্যাচ এবং সাতটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন ২৬ বছরের লেগ স্পিনার। পাকিস্তানের স্পিন আক্রমণের নতুন ভরসা তিনিই। ভারতের বিরুদ্ধে মানসিক চাপের ম্যাচেও ভাল বল করেছেন। বলা যেতে পারে রবিবার তিনিই ছিলেন পাকিস্তানের অন্যতম সেরা পারফর্মার। তবু একটি ঘটনার জন্য সমালোচনায় বিদ্ধ হচ্ছে তিনি।
শুভমনকে আউট করার পর বিশেষ একটি ভঙ্গিতে মাঠ ছাড়তে বলেছিলেন আবরার। দু’টি হাত বুকের সামনে রেখে কাঁধ ঝাঁকিয়েছিলেন তিনি। একই সঙ্গে চোখ নাচিয়ে শুভমনকে বোধহয় বলতে চেয়েছিলেন, ‘‘কেমন লাগল!’’ তাঁর উচ্ছ্বাসের সেই ভঙ্গি ভাইরাল হয়েছে সমাজমাধ্যমে। উইকেট নিয়ে সাধারণত এ ভাবেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন পাক স্পিনার। তা নিয়ে এত দিন কথা না উঠলেও ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের পর সমালোচনা শুরু হয়েছে।
ভারতের ইনিংসের ১৮তম ওভারের তৃতীয় বলে শুভমনকে আউট করেন আবরার। লেগ স্পিনারের বল বুঝতে পারেননি ভারতীয় ওপেনার। বলের লাইনে ব্যাট নিয়ে গিয়েও বোল্ড হয়ে যান স্পিনে ঠকে। সে সময় আবরারের বলের প্রশংসা করেন ধারাভাষ্যকারেরা। নজর কাড়ে আবরারের উচ্ছ্বাস প্রকাশের ভঙ্গিও। তা নিয়ে আলোচনাও শুরু হয়। কিন্তু খেলার পর সেই আলোচনাই পরিণত হয়েছে সমালোচনায়। আক্রম বলেছেন, ‘‘আবরারের বলটা আমাকে মুগ্ধ করেছে। কিন্তু ওর উচ্ছ্বাসের ধরন আমার পছন্দ হয়নি। এই ধরনের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করার উপযুক্ত সময় এবং পরিস্থিতির জন্য অপেক্ষা করতে হয়। দল জিতলে এ ভাবে আনন্দ করাই যায়। কিন্তু যখন দল সমস্যায় রয়েছে, তখন করলে মানা যায় না। এই সময় বিনয়ী থাকা উচিত। শান্ত থাকা উচিত। কিন্তু ওর মধ্যে তেমন কিছু দেখা যায়নি। আবরারকে কি কেউ এগুলো বলে দেয়নি!’’
বিরক্ত আক্রম আরও বলেছেন, ‘‘এই ধরনের উচ্ছ্বাস সব কিছু শেষ করে দেয়। ৭ রানে ৫ উইকেট নিলেও বুঝতাম। কিন্তু বিষয়টা দেখতে ভাল লাগেনি। টেলিভিশনেও নয়।’’ আক্রম বোঝাতে চেয়েছেন, আবরারের উচ্ছ্বাস প্রকাশের মধ্যে ঔদ্ধত্য প্রকাশ পেয়েছে। যা সময়োপযোগী ছিল না।
আরও পড়ুন:
ক্রিকেটপ্রেমীদের একাংশও মনে করছেন আবরারের উচ্ছ্বাস প্রকাশের ভঙ্গি ভারতীয় শিবিরকে তাতিয়ে দেয়। তৃতীয় উইকেটে বিরাট কোহলি এবং শ্রেয়স আয়ারের ১১৪ রানের জুটি পাকিস্তানের সব আশা শেষ করে দেয়। মহম্মদ রিজ়ওয়ানের দল জিতলে হয়তো অন্য রকম পরিস্থিতি হত। নায়কের সম্মান পেতেন আবরার।