হার্দিক পাণ্ড্য আউট হওয়ার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যাট করতে নেমেছিলেন অক্ষর পটেল। সে সময় ভারতীয় দল জয় থেকে ১৯ রান দূরে ছিল। ভারতের হাতে ছিল ৬ উইকেট এবং ৬০ বল। এমন সহজ পরিস্থিতিতে ব্যাট করতে নেমেও অঙ্ক কষে ব্যাট করেন অক্ষর। দলের জয়ের পাশাপাশি বিরাট কোহলির শতরান নিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন তিনি।
অক্ষর যখন ব্যাট করতে নামেন সে সময় কোহলি অপরাজিত ছিলেন ৮৬ রানে। ক্রিকেটপ্রেমীরা এক দিনের ক্রিকেটে কোহলির ৫১তম শতরানের অপেক্ষায়। ভারতীয় দল জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়ায় কোহলির শতরান পূর্ণ হওয়া নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল ভারতীয় সাজঘরেও। বিষয়টি মাথায় ছিল অক্ষরেরও। কোহলির যাতে শতরান হাতছাড়া না হয়, তা মাথায় রেখে ব্যাট করেছেন তিনি। ম্যাচের পর ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) ওয়েবসাইটে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অক্ষর হাসতে হাসতে বলেছেন, ‘‘বিরাট ভাইয়ের শতরান নিশ্চিত করতে শেষ দিকে আমি অঙ্ক করছিলাম। সতর্ক ছিলাম যাতে ব্যাটের কোণে বল লেগে চার না হয়ে যায়। বেশ মজা লাগছিল ব্যাট করতে।’’ ভারতের ইনিংসের ৪২তম ওভারে তিনটি ওয়াইড বল করেন শাহিন আফ্রিদি। তাতে কোহলির শতরান পূর্ণ হওয়া নিয়ে আশঙ্কা আরও বেড়ে যায়।
শেষ পর্যন্ত কোহলি শতরান করায় খুশি অক্ষর। রবিবার একাধিক বার দু’রান নেওয়ার সুযোগ পেয়েও এক রান নিয়ে থেমে গিয়েছেন অক্ষর। সতীর্থের কাণ্ড দেখে কোহলিকে বিরক্তি প্রকাশ করতেও দেখা গিয়েছে। তবু অক্ষর না দেখার ভান করে চেষ্টা করে গিয়েছেন কোহলির শতরান নিশ্চিত করার। শেষ পর্যন্ত ৪ বলে ৩ রান করে অপরাজিত থাকেন অক্ষর।
আরও পড়ুন:
ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের উত্তেজনা সামলে কোহলির ইনিংস মুগ্ধ করেছে অক্ষরকে। এ নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘‘এই প্রথম এত চাপের একটা ম্যাচের প্রায় পুরোটা সাজঘরে বসে দেখলাম। সেই ম্যাচেই আবার বিরাট ভাই সেঞ্চুরি করল। খুব মজা পেয়েছি। ৫০ ওভার ফিল্ডিং করার পরও বিরাট ভাই খুচরো রান নেওয়ার জন্য যে ভাবে দৌড়চ্ছিল, তা থেকেই বোঝা যায় ফিটনেস কোন পর্যায়ের।’’ এক দিনের ক্রিকেটে রবিবারই ১৪ হাজার রান পূর্ণ করেছেন কোহলি। সে সময় স্টেডিয়ামের দর্শকদের চিৎকার, উচ্ছ্বাস দেখে মুগ্ধ অক্ষর।