কলকাতা নাইট রাইডার্সের ‘বিতাড়িত’ ক্রিকেটারেরাই এ বারের আইপিএলে নজর কাড়ছেন। ফিল সল্ট এবং শ্রেয়স আয়ার আগেই ব্যাট হাতে দেখিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা কী করতে পারেন। রবিবার দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে মিচেল স্টার্ক এবং রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে নীতীশ রানার পারফরম্যান্সও ভাবাতে পারে কেকেআর কর্তৃপক্ষকে।
ইডেন গার্ডেন্সে এ বারের আইপিএলের প্রথম ম্যাচেই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে কেকেআরের বিরুদ্ধে ৩১ বলে ৫৬ রানের ইনিংস খেলেছিলেন সল্ট। সেই ম্যাচ হেরে যায় কলকাতা। গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে গত বারের চ্যাম্পিয়ন দলের অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ার করেন ৪২ বলে অপরাজিত ৯৭। এ বার তিনি পঞ্জাব কিংসের অধিনায়ক। নীতীশকে এ বার কিনেছে রাজস্থান। রবিবার গুয়াহাটির ২২ গজে ঝড় উঠল কেকেআরের প্রাক্তন অধিনায়কের ব্যাটেও। চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে ৩৬ বলে ৮১ রানের ইনিংস খেললেন। ১০টি চার এবং ৫টি ছয় মারলেন তিনি। তার আগে বিশাখাপত্তনমে বল হাতে দাপট দেখান মিচেল স্টার্ক। অস্ট্রেলীয় জোরে বোলার এ বার দিল্লি ক্যাপিটালসে। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ৩৫ রান খরচ করে ৫ উইকেট তুলে নিয়েছেন।
কেকেআরের আইপিএল জয়ী দলের ক্রিকেটারেরা এ বারও বিভিন্ন দলকে জেতাচ্ছেন। ভাল পারফর্ম করছেন। অথচ তাঁদের গুরুত্ব দিয়ে ধরে রাখার প্রয়োজনই মনে করেননি কেকেআর কর্তৃপক্ষ। এমনকি নিলামের সময়ও এই ক্রিকেটারদের জন্য মরিয়া হয়ে চেষ্টা করেনি কেকেআর। রবিবার স্টার্ক একাই কোণঠাসা করে দেন হায়দরাবাদকে। তিনি আউট করেছেন ট্রেভিস হেড (২২), ঈশান কিশন (২), নীতীশ কুমার রেড্ডি (শূন্য), উইয়ান মুলডার (৯) এবং হর্ষল পটেলকে (৫)। এ ছাড়া অভিষেক শর্মাকে (১) প্রথম ওভারে রান আউট করার ক্ষেত্রেও অবদান রয়েছে স্টার্কের।
অন্য ম্যাচে চাপের মুখে ব্যাট হাতে রুখে দাঁড়িয়েছেন নীতীশ। যশস্বী জয়সওয়াল প্রথম ওভারেই আউট হয়ে যাওয়ার পর ব্যাট করতে নামেন তিনি। গুরুত্বপূর্ণ তিন নম্বরে নেমে দলের ইনিংসকে টেনে নিয়ে যান। নীতীশ ২০২৩ মরসুমে কলকাতার অধিনায়ক ছিলেন। গত মরসুমেও সহ-অধিনায়ক ছিলেন।
আরও পড়ুন:
সল্ট, শ্রেয়স, নীতীশ, স্টার্ক সকলেই এ বার ভাল ফর্মে রয়েছেন। সমস্যায় পারেন পুরনো দল কেকেআরকে। অতীতে সূর্যকুমার যাদব, শুভমন গিল, দীনেশ কার্তিকদের ধরে রাখার কথা ভাবেননি কেকেআর কর্তৃপক্ষ। তাঁরাও পরে আইপিএলে সফল হয়েছেন। ভারতীয় ক্রিকেটে নিজেদের জায়গা করে নিয়েছেন।
- ১৮ বছরের খরা কাটিয়ে ট্রফি জিতেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। প্রথম বার আইপিএল জেতার স্বাদ পেয়েছেন বিরাট কোহলি। ফাইনালে পঞ্জাব কিংসকে ছ’রানে হারিয়েছে বেঙ্গালুরু।
- ট্রফি জেতার পরের দিনই বেঙ্গালুরুতে ফেরেন বিরাট কোহলিরা। প্রিয় দলকে দেখার জন্য প্রচুর সমর্থক জড়ো হয়েছিলেন চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে। সেখানে হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১১ জনের। আহত ৫০-এরও বেশি। ঘটনাকে ঘিরে দায় ঠেলাঠেলি শুরু হয়েছে।
-
‘লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড় হবে’! বেঙ্গালুরুতে কোহলিদের উৎসবের আগে সতর্ক করেছিল পুলিশই, তবু কেন এড়ানো গেল না দুর্ঘটনা
-
আইপিএলের শেষ পর্বে ছিলেন না, ভারত-পাক সংঘাত, না কি ‘বিশেষ’ কারণে খেলতে আসেননি স্টার্ক?
-
‘ভিড়ের চাপে স্ত্রীয়ের হাত ছুটে যায়’, পদপিষ্টে প্রিয়জন হারিয়ে কথা বলার ভাষা নেই পরিবারের
-
অফিসে খোলা পড়ে ল্যাপটপ, আরসিবি-র অনুষ্ঠান দেখেই ফিরবেন বলেছিলেন, ফিরে এল তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী কামাক্ষীর দেহ
-
বেঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনারকে সাসপেন্ড করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া! গ্রেফতার করা হতে পারে আরসিবি কর্তাদেরও