মহম্মদ হ্য়ারিস। —ফাইল চিত্র
ছোটদের এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারত এ-কে ১২৮ রানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে পাকিস্তান এ। প্রতিযোগিতার পরে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন দলের ক্রিকেটারদের বয়স নিয়ে। যেখানে ভারতীয় দলে মূলত অনূর্ধ্ব-২৩ ক্রিকেটারেরা ছিলেন সেখানে পাকিস্তানের জাতীয় দলে খেলা ক্রিকেটারেরাও ছিলেন প্রতিপক্ষ দলে। এই বিষয়ে এ বার মুখ খুলেছেন পাকিস্তান এ দলের অধিনায়ক মহম্মদ হ্যারিস। ভারতকে খোঁচা মেরে তিনি বলেন, ‘‘আমরা কি ওদের বাচ্চা ছেলেদের পাঠাতে বলেছিলাম?’’
একটি সাক্ষাৎকারে হ্যারিস বলেন, ‘‘অনেক বলছে পাকিস্তান এ দলে অনেক সিনিয়র ক্রিকেটার ছিল। আমরা তো ওদের বাচ্চা ছেলেদের পাঠাতে বলিনি। ওরা বলছে আমাদের দলে জাতীয় দলে খেলা ক্রিকেটার ছিল। হ্যাঁ ছিল। কিন্তু তাদের অভিজ্ঞতা কত? সালিম ৫টে ম্যাচ খেলেছে। আমি ৬টা। আর ভারতীয় দলে যারা ছিল তারা যে ২৬০টা আইপিএল ম্যাচ খেলেছে। তার বেলা?’’
পাক অধিনায়ক হ্যারিস যতই নিজেদের পক্ষে যুক্তি সাজান না কেন, ভারতীয় দলের ক্রিকেটারদের গড় বয়স যে অনেক কম ছিল তা পরিষ্কার। ভারতের জাতীয় দলে সুযোগ না পাওয়া যে ক্রিকেটারেরা আইপিএল ও ঘরোয়া ক্রিকেটে ভাল খেলেছেন তাঁদেরই এই প্রতিযোগিতায় পাঠানো হয়েছিল। অধিনায়ক যশ ঢুল মাত্র ৪টি আইপিএল ম্যাচ খেলেছেন। ভারতীয় দলের গড় বয়স ২০ বছর ৮০ দিন। সেখানে পাকিস্তান দলের গড় বয়স ২৩ বছর ২০০ দিন। অধিনায়ক হ্যারিস পাকিস্তানের হয়ে ১৪টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। তার মধ্যে শেষ ম্যাচ ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে মে মাসে।
পাকিস্তানের যে দল এশিয়া কাপ খেলতে এসেছিল তার সব ক্রিকেটার মিলিয়ে ৮৫টি আম্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। মহম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র ২টি
টেস্ট, ১৪টি এক দিনের ম্যাচ ও ২৭টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। তার পরেও গ্রুপের ম্যাচে পাকিস্তানকে সহজেই হারিয়েছিল ভারত। কিন্তু ফাইনালে অনিয়ন্ত্রিত বোলিং ও পরে ব্যাটিং ব্যর্থতায় হারতে হয় ভারতকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy