ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন শাহরুখরা। ছবি: টুইটার।
বিশ্ব ক্রিকেটে আরও জাঁকিয়ে বসতে চলেছে আইপিএলের থাবা। আগামী দিনে কোনও ক্রিকেটারকে জাতীয় দলে রাখার জন্য তাঁর ফ্র্যাঞ্চাইজ়ির কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে সংশ্লিষ্ট দেশের ক্রিকেট বোর্ডকে। কারণ সেরা ক্রিকেটারদের ধরে রাখতে বার্ষিক চুক্তির দিকে এগোচ্ছে ফ্র্যাঞ্চাইজ়িগুলি। শাহরুখ খান, মুকেশ অম্বানিরা নিয়ন্ত্রণ করতে চলেছেন ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ।
ইংল্যান্ডের একটি সংবাদমাধ্যমের দাবি, জোফ্রা আর্চার হতে পারেন এই ধরনের প্রথম ক্রিকেটার। যিনি দেশের আগে পাকাপাকি ভাবে বেছে নিতে পারেন ফ্র্যাঞ্চাইজ়িকে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স তাঁকে ধরে রাখার জন্য বার্ষিক চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে। আর্চার প্রস্তাব মেনে নিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে তাঁকে ইংল্যান্ড দলে রাখতে হলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আগাম অনুমতি নিতে হবে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডকে।
চোটের জন্য গত বছর আইপিএল খেলতে পারেননি আর্চার। এ বারও কনুইয়ের চোটের জন্য প্রতিযোগিতার মাঝপথে দেশে ফিরে গিয়েছেন এই জোরে বোলার। গত বছর নিলামে আর্চারকে ৮ কোটি টাকা দিয়ে কিনেও সেই অর্থে লাভ হয়নি মুম্বইয়ের। আগামী দিনে যাতে এমন সমস্যা না হয়, তা নিশ্চিত করতেই আর্চারের সঙ্গে বার্ষিক চুক্তির ভাবনা মুম্বই কর্তৃপক্ষের। তা হলে আর্চার বছরে কতগুলি ম্যাচ দেশের হয়ে খেলবেন, কোন কোন সিরিজ়ে খেলবেন— এই সব কিছুই নির্ধারণ করবে মুম্বই। ফ্র্যাঞ্চাইজ়ির অনুমতি না নিয়ে তাঁকে খেলাতে পারবে না ইসিবি।
অ্যাশেজ সিরিজ়ের আগে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠার জন্য এবং এক দিনের বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে চোট নিয়ে আইপিএল খেলতে চাননি আর্চার। তা-ও দেশে ফেরার আগে তাঁর সঙ্গে বার্ষিক চুক্তি নিয়ে একদফা কথা বলেছেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স কর্তৃপক্ষ। বার্ষিক চুক্তি থাকলে আর্চারকে বিশ্বের বিভিন্ন টি-টোয়েন্টি লিগে খেলাতে পারবেন তাঁরা। ভারত ছাড়াও সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, দক্ষিণ আফ্রিকা, আমেরিকার ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি লিগে দল রয়েছে মুম্বইয়ের।
ইংল্যান্ডের সংবাদমাধ্যমটির দাবি, শুধু আর্চার নন ইংল্যান্ডের বেশ কয়েক জন ক্রিকেটার রয়েছেন ফ্র্যাঞ্চাইজ়িগুলির নজরে। তাঁদের অন্যতম অ্যালেক্স হেলস। ২০২২ সালের নিলামে কলকাতা নাইট রাইডার্স তাঁকে কিনলেও আইপিএল থেকে তিনি নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গেও বার্ষিক চুক্তি করতে আইপিএলের একটি ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি।
ক্রিকেটে ফ্র্যাঞ্চাইজ়িগুলির দাপট গত কয়েক বছরে অনেক বেড়েছে। এখন তারা ক্রিকেটারদের নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে। পরিস্থিতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ইংল্যান্ড-সহ বিভিন্ন দেশের ক্রিকেট বোর্ড। জেনেও এক রকম নিরুপায় বোর্ড কর্তারা। আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজ়িগুলির অর্থবল তাঁদের ব্যাকফুটে রেখেছে। ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি লিগ খেলার জন্য অনেক ক্রিকেটার এখন নিজেদের দেশের ক্রিকেট বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকতে চান না। তাঁরা ফ্র্যাঞ্চাইজ়িগুলির সঙ্গে বার্ষিক চুক্তি করলে প্রভাব পড়তে পারে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy