অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস এবং মাইকেল ক্লার্ক। ছবি: টুইটার
কথায় বলে বিষয় হল বিষ। টাকা, সম্পত্তিকে কেন্দ্র করে পৃথিবীর বহু সম্পর্ক নষ্ট হয়েছে। টাকার এই কুফল হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন অ্যান্ড্রু সাইমন্ডসও।
অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অলরাউন্ডার টাকার জন্য বন্ধু হারিয়েছেন। সেই বন্ধু যেমন তেমন কেউ নন। তিনি অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক। ২০০৭ বিশ্বকাপের পর কী ভাবে ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হয়েছিল সে কথাই আক্ষেপের সঙ্গে জানিয়েছেন সাইমন্ডস।
২০০৭ সালে রিকি পন্টিংয়ের নেতৃত্বে বিশ্বকাপ জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়ার টানা তিন বার বিশ্বকাপ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন সাইমন্ডস এবং ক্লার্ক। দু’জনে ছিলেন ঘনিষ্ঠ বন্ধু। কিন্তু সেই বন্ধুত্বই ক্ষতিগ্রস্ত হয় বিশ্বকাপের পর।
২০০৮ আইপিএলের নিলামে সাইমন্ডস দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দাম পান। তিনিই ছিলেন প্রতিযোগিতার সবথেকে দামি বিদেশি ক্রিকেটার। তার পর থেকেই ক্লার্কের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হতে শুরু করে সাইমন্ডসের। অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অলরাউন্ডার বলেছেন, ‘‘আমরা ধীরে ধীরে ঘনিষ্ঠ বন্ধু হয়ে উঠেছিলাম। ক্লার্ক জাতীয় দলে আসার পর আমরা বহু সময় এক সঙ্গে বাইশ গজে কাটিয়েছি। অনেক জুটি রয়েছে আমাদের। দু’জনের মধ্যে ভাল বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে।’’
এর পরেই সাইমন্ডস তাঁদের সম্পর্কের অবনতির কথা বলেছেন। অস্ট্রেলিয়ার একটি সংবাদ মাধ্যমে ব্রেট লিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘‘আইপিএল শুরু হওয়ার পর ম্যাথু হেডেন বিষয়টা আমাকে বলেছিল। এই প্রতিযোগিতা থেকে বেশ ভাল উপার্জন করেছিলাম। তাতেই ক্লার্ক আমাকে হিংসা করতে শুরু করে বলে জানায় হেডেন। যেটা আমাদের সম্পর্কেও প্রভাব ফেলেছিল।’’ সাইমন্ডস আরও বলেছেন, ‘‘টাকা ব্যাপারটা মজার। বিষয়টা ভাল হলেও বিষের মতো। এটা আমাদের বন্ধুত্ব, সম্পর্ককে খুবই প্রভাবিত করেছিল। ওর প্রতি আমার যথেষ্ট শ্রদ্ধা রয়েছে। আমাকে ও যা যা বলেছিল, সেগুলো বলব না। এর থেকে বিস্তারিত কিছু বলতে চাই না। আমাদের বন্ধুত্ব আর বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। আস্তে আস্তে তাতেই ধাতস্ত হয়ে যাই আমি।’’
এর আগে ক্লার্কও নিজের আত্মজীবনীতে লিখেছিলেন, ২০০৫ সালে সাইমন্ডস তাঁর নেতৃত্বের তীব্র সমালোচনা করেন। মত্ত অবস্থায় জাতীয় দলের হয়ে খেলতে এসে বিতর্কেও জড়ান সাইমন্ডস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy