শতরানের পর হেলমেটে চুম্বন রাহুলের। ছবি: পিটিআই।
তিনি যখন ব্যাট করতে এসেছিলেন তখন ম্যাচের বয়স ২৯ ওভার। প্রায় শেষ ওভার পর্যন্ত থেকে যখন তিনি আউট হয়ে মাঠ ছাড়ছেন, তখন নামের পাশে বসে গিয়েছে ১০২ রান। শেষ ওভারের প্রথম দুই বলে ছক্কা মেরে শতরান করার পর পঞ্চম বলে আবার একটি ছয় মারতে গিয়ে ফিরে যান। তবে শতরান করেও তাঁর একটাই খেদ, উইকেটকিপার হিসাবে তিনি দলের বোলারদের থেকে যথেষ্ট কৃতিত্ব পান না। তবে রাহুল সেই কথা বলেছেন মজার ছলেই।
এ বারের বিশ্বকাপে রাহুলের উইকেটকিপিং আলোচ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে ডিআরএসের ক্ষেত্রে রাহুলের সিদ্ধান্ত বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ঠিক হয়েছে। তিনিই অধিনায়ক রোহিতকে ডিআরএস নিতে বলেছেন অনেক সময়ে। সেই প্রসঙ্গে রাহুল বলেন, “এত বড় একটা ইনিংস খেলার পরে উইকেটকিপিং করতে সমস্যা হয় মাঝেমাঝে। কিন্তু খেলার সঙ্গে সব সময় যুক্ত থাকতে ভালবাসি। তবে বোলারেরা আমাকে বড্ড খাটায়। বিশেষত ডিআরএস নেওয়ার ক্ষেত্রে। আমার মনে হয় ডিআরএসের জন্যে ওরা আমাকে খুব বেশি কৃতিত্ব দেয় না।” হাসতে হাসতেই সতীর্থদের বিষয়ে মজা করে কথাগুলি বলেন রাহুল। সঞ্চালক ইয়ান স্মিথও রাহুলের কথা শুনে হেসে ফেলেন।
বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে অল্পের জন্যে শতরান করতে পারেননি রাহুল। এ বারের বিশ্বকাপে প্রথম শতরান পেলেন রবিবারই। সেই প্রসঙ্গে বলেন, “গত দুটো ম্যাচে ক্রিজে বেশি সময় কাটাতে পারিনি। তাই আজ ব্যাট করে ভাল লেগেছে। পাঁচ নম্বরে ব্যাট করলে আত্মবিশ্বাসের দরকার হয়। সেই আত্মবিশ্বাস থাকার কারণে শেষের দিকে পর পর দুটো ছয় মেরে শতরান করতে পেরেছি।”
রাহুলের সংযোজন, “আমার এই ইনিংসের পিছনে কোনও রকেট বিজ্ঞান নেই। শেষের ১০ ওভারে মারতে হবে এটা জানতামই। যত বেশি সম্ভব রান তুলতে চাইছিলাম আমরা দু’জনে। পরের দিকে বল নরম হয়ে আসে। তখন ছয় মারা বেশ কঠিন। সেটাও পেরেছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy