দু’জনেই মুম্বইয়ের। কিন্তু আইপিএলে আলাদা আলাদা দলের অধিনায়ক তাঁরা। শ্রেয়স আয়ার পঞ্জাব কিংসের। অজিঙ্ক রাহানে কলকাতা নাইট রাইডার্সের। মঙ্গলবার পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে ১১২ রান তাড়া করতে পারেনি কলকাতা নাইট রাইডার্স। ১৬ রানে হেরেছে তারা। খেলা শেষে শ্রেয়সের সামনে হারের কারণ জানিয়েছেন রাহানে। নিজেদের ব্যর্থতা স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি।
খেলা শেষে যখন দু’দলের ক্রিকেটারেরা হাত মেলাচ্ছেন তখন শ্রেয়সকে মরাঠিতে রাহানে বলেন, “ক্যা ফালতু ব্যাটিং কালি আন আমি?” বাংলায় এই কথার অর্থ, “কী ফালতু ব্যাট করলাম আমরা। তাই না?” শ্রেয়সও পাল্টা কিছু একটা বলেন। তিনি কী বলেছিলেন তা শোনা যায়নি।
রাহানের কথা থেকে স্পষ্ট, ব্যাটিং ব্যর্থতা ছাড়া অন্য কোনও কারণ দেখতে পাচ্ছেন না তিনি। সত্যিই তো, বোলারেরা পঞ্জাবকে ১১১ রানে আটকে রেখেছিলেন। তাঁরা নিজেদের কাজ করেছিলেন। রান তাড়া করতে নেমে একটা সময় ৬২ রানে ২ উইকেট ছিল কেকেআরের। সেখান থেকে যে দল হারবে তা কী ভাবে বুঝবেন রাহানে? সেই হতাশাই ঝরে পড়ছিল তাঁর গলায়।
তবে এই হারের নেপথ্যে রাহানেরও দায় রয়েছে। ১১২ রান তাড়া করতে নেমে রাহানে ও অঙ্গকৃশ রঘুবংশী যখন খেলছিলেন, তখন দেখে মনে হচ্ছিল, হাসতে হাসতে জিতবে কলকাতা। এমনকি, পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে ওঠার সুযোগ ছিল তাদের। কিন্তু ৭.৪ ওভারের মাথায় যুজবেন্দ্র চহলের বল রাহানের প্যাডে লাগে। আম্পায়ার এলবিডব্লিউ দেন। তার পরেই নাটক রাহানের। আম্পায়ার আউট দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সাজঘরের দিকে ফিরছিলেন রাহানে। তিনি ভেবেছিলেন আউট হয়ে গিয়েছেন। পরে রঘুবংশী তাঁকে ডাকেন। সতীর্থের সঙ্গে কথা বলেন রাহানে। তার পরেও রিভিউ নেননি। সোজা হাঁটা দেন ডাগআউটের দিকে। যেখানে খালি চোখে দেখে মনে হচ্ছিল বল অফস্টাম্পের বাইরে লেগেছে সেখানে রাহানে রিভিউ নিলেন না। সেই একটা সিদ্ধান্তই কেকেআরকে হারিয়ে দিল।
আরও পড়ুন:
পরে রিপ্লেতে দেখা যায়, বল অফস্টাম্পের বাইরে প্যাডে লেগেছে। অর্থাৎ, রিভিউ নিলে রাহানে নটআউট থাকতেন। যখন রিপ্লে দেখানো হচ্ছে, তখন ডাগআউটে থমথমে মুখে বসে কলকাতার অধিনায়ক। ৬২ রানে ৩ উইকেট থেকে ৭৯ রানে ৮ উইকেট পড়তে দেখলেন রাহানে। কী ভাবে একটা জেতা ম্যাচ হারতে হয় সেটা দেখলেন রাহানে। শেষ পর্যন্ত হারের দায় নিজের কাঁধে নিয়েছেন অধিনায়ক। ম্যাচ শেষে রাহানে বলেন, “কিচ্ছু ব্যাখ্যা করার নেই। কী হয়েছে তা সকলেই দেখেছে। দলের খেলায় আমরা হতাশ। ভুল শট খেলে আউট হলাম। এই হারের দায় আমার।” কিন্তু তিনি তো আউট ছিলেন না। একবারও কি তা মনে হয়নি? সতীর্থ রঘুবংশী কী বলেছিলেন তাঁকে? রাহানে বলেন, “অঙ্গকৃশ নিশ্চিত ছিল না। ওর মনে হচ্ছিল আম্পায়ার্স কল হতে পারে। আমিও নিশ্চিত ছিলাম না। ওই সময় রিভিউ নষ্ট করতে চাইনি।”
রাহানের এই কথা থেকে স্পষ্ট, তিনি বুঝতেই পারেননি যে বল অফস্টাম্পের বাইরে লেগেছিল। একজন ব্যাটারের কাছে সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। রাহানে তো টেকনিক্যাল ব্যাটার। তাঁর কাছে এই ভুল আশা করা যায় না। যেখানে তিনি ভাল খেলছেন, যেখানে তাঁর মনে কিছুটা হলেও সন্দেহ রয়েছে সেখানে তো তাঁর রিভিউ নিতেই হত। এই সহজ বিষয়টি মাথায় ঢুকল না তাঁর। রাহানে থাকলে হয়তো খেলার ফল অন্য রকম হত।
- চলতি বছর আইপিএলের ১৮তম বর্ষ। ২০০৮ সাল থেকে শুরু হয়েছিল এই প্রতিযোগিতা। এখন এই প্রতিযোগিতায় খেলে মোট ১০টি দল। তাদের মধ্যেই চলে ভারতসেরা হওয়ার লড়াই।
- গত বার আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। তিন বার এই ট্রফি জিতেছে তারা। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ও চেন্নাই সুপার কিংস পাঁচ বার করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু, দিল্লি ক্যাপিটালস, পঞ্জাব কিংস ও লখনউ সুপার জায়ান্টস এখনও পর্যন্ত এক বারও আইপিএল জিততে পারেনি।
-
২২:৪৮
আবার নায়ক রোহিত, বিপর্যস্ত হায়দরাবাদকে হারিয়ে আইপিএলে আরও এগোল মুম্বই -
২১:৩৭
‘ধোনির ধারেকাছেও আসে না’, দিল্লির কাছে লখনউ হারতেই পুজারার নিশানায় পন্থ -
১৪:২৪
কলকাতার দেখানো পথে চেন্নাই, ১০ নম্বরে থেকেও সমর্থকদের আশা দেখাচ্ছেন ধোনিদের কর্তা! -
১৩:০৩
গোয়েন্কার দলে অশান্তি! ডাগ আউটেই মেন্টর জাহিরের সঙ্গে কথা কাটাকাটি অধিনায়ক পন্থের -
১২:১১
পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডে নিহতদের শ্রদ্ধার্ঘ্য, বুধবার আইপিএল ম্যাচে তিন সিদ্ধান্ত ভারতীয় বোর্ডের