রিঙ্কু সিংহ। —ফাইল চিত্র।
আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে সাফল্যের পর প্রথম বার ভারতীয় দলে ডাক পেয়েছেন। রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের নেতৃত্বে খেলতে যাবেন এশিয়ান গেমস। দলে সুযোগ পাওয়ার পর রিঙ্কু জানিয়েছেন তাঁর প্রিয় ক্রিকেটারের নাম। জানিয়েছেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনির গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শের কথাও।
রিঙ্কুর প্রিয় ক্রিকেটারের তালিকায় নাম নেই ধোনির। বিরাট কোহলিও তাঁর আদর্শ নন। যদিও এঁদের কাছে পেলে পরামর্শ নিতে ভোলেন না। ধোনি বা কোহলি আদর্শ না হলেও ক্রিকেটার হিসাবে তাঁদের শ্রদ্ধা করেন রিঙ্কু। আইপিএলের সময় ধোনিকে সামনে পেয়ে তাঁর পরামর্শও চেয়ে নিয়েছিলেন কেকেআরের ব্যাটার।
কেকেআরের হয়ে পাঁচ বা ছ’নম্বরে ব্যাট করেন রিঙ্কু। সে সময় ধরে খেলার কোনও সুযোগ থাকে না। প্রথম বল থেকেই চালিয়ে খেলতে হয়। একই জায়গায় ব্যাট করেন ধোনিও। তাই ভারতের প্রাক্তন অধিনায়কের কাছ থেকে ব্যাটিংয়ের পরামর্শ চেয়েছিলেন রিঙ্কু। ধোনিও ফিরিয়ে দেননি। সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে রিঙ্কু বলেছেন, ‘‘মাহি ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলে অনেক উপকার হয়েছে। উনি আমার মতোই পাঁচ বা ছয় নম্বরে ব্যাট করেন। ক্রিকেটজীবনের অধিকাংশ সময় নীচের দিকেই ব্যাট করেছেন। মাহি ভাইয়ের থেকে আর কে ভাল জানবে, ওই জায়গায় কী করে ব্যাট করতে হয়। আমি শুধু জানতে চেয়েছিলাম, কী ভাবে আরও ব্যাট করতে পারব। ছোট্ট এবং সহজ পরামর্শ দিয়েছিলেন ধোনি। তিনি বলেছিলেন, ‘তুমি খুব ভাল ব্যাটিং করছ। যে ভাবে খেলছ, সে ভাবেই খেলে যাও।’’’
হার্দিক পাণ্ড্যর গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে শেষ পাঁচ বলে পাঁচটি ছক্কা মেরে কলকাতাকে রুদ্ধশ্বাস জয় এনে দিয়েছিলেন রিঙ্কু। আমদাবাদের সেই ম্যাচের পর থেকেই ভারতীয় ক্রিকেটের আলোচনায় উঠে এসেছেন উত্তরপ্রদেশের ক্রিকেটার। আইপিএলে ধারাবাহিক ভাল পারফরম্যান্সের পর ভারতীয় দলে ডাক পাওয়ার সম্ভাবনাও তৈরি হয় রিঙ্কুর। আসন্ন এশিয়ান গেমসে সেই সুযোগ পাবেন তিনি।
ধোনিই কি আপনার প্রিয় ক্রিকেটার? ধোনির এক বন্ধুর নাম বলেছেন রিঙ্কু। প্রিয় ক্রিকেটার বা আদর্শ হিসাবে রিঙ্কু বলেছেন সুরেশ রায়নার নাম। তিনি বলেছেন, ‘‘আমার আদর্শ রায়না ভাই। নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে আমাদের। প্রয়োজন মনে করলে পরামর্শ চাই। উনিও আমাকে বিভিন্ন পরামর্শ দেন। আমার কাছে রায়নাই আইপিএলের রাজা। অনেক সাহায্য পেয়েছি রায়না ভাইয়ের কাছ থেকে।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘হরভজন সিংহের কথাও বলব। উনিও আমাকে প্রচুর সাহায্য করেছেন। এই দু’জনের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। ওঁদের মতো বড় ক্রিকেটারের সাহায্য আমাকে ক্রিকেটার হিসাবে পরিণত হতে সাহায্য করেছে। ওঁদের দেখে আমি অনুপ্রাণিত হই।’’
ভারতের হয়ে খেলার সুযোগ পাওয়া নিয়েও কথা বলেছেন রিঙ্কু। কেকেআরের ভরসা হয়ে ওঠা তরুণ ব্যাটার বলেছেন, ‘‘ভারতের জার্সি পরে খেলার স্বপ্ন সবাই দেখে। ভবিষ্যৎ নিয়ে আমি ভাবি না। ওতে চাপ তৈরি হয়। ভাবার মতো অনেক কিছু রয়েছে। আমি জীবনকে প্রতি দিন হিসাবে দেখি। যে কোনও পেশাদার খেলোয়াড়ের মতো আমিও দেশের হয়ে খেলতে চাই। আমার বাবা-মা, বাড়ির সবাই খুব খুশি হবে আমাকে ভারতীয় দলের জার্সি পরে দেখলে। বাড়ির সবাই আমার লড়াই সামনে থেকে দেখেছে। সবাই সাধ্য মতো সাহায্য করেছে। সাফল্য এবং ব্যর্থতার সময় পাশে থেকেছে। যে দিন প্রথম জার্সিটা পরব, বাড়ির সবাইকেই উৎসর্গ করব। ওই দিনটার জন্য বাড়ির সবাই অপেক্ষা করছে।’’
যখন প্রথম ভারতের জার্সি পরবেন, কী মনে হবে আপনার? রিঙ্কু বলেছেন, ‘‘এমনিতে আমি শক্ত মনে ছেলে। তবে আমার মধ্যেও আবেগ আছে। প্রথম বার দেশের জার্সি পরার সময় হয়তো চোখে জল চলে আসবে। জানি, কয়েক ফোটা হলেও আসবেই। আমার লড়াইটা বেশ দীর্ঘ এবং কঠিন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy