২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি বা ২০১৯ সালের এক দিনের বিশ্বকাপ। ৫০ ওভারের ক্রিকেটে বার বার ভারতকে ভুগিয়েছে চার নম্বর ব্যাটার। ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে চার নম্বরে বিভিন্ন ব্যাটারকে নামিয়ে পরীক্ষা করতে হয়েছিল ভারতকে। চার নম্বরে নির্ভরযোগ্য কাউকে না পাওয়ার খেসারত দিতে হয়েছে তাদের। দলের এই দুর্বলতা ঢাকতে নেমেছেন শ্রেয়স আয়ার। চার নম্বর জায়গা নিজের করে নিতে চান তিনি। ভারতীয় ব্যাটার জানিয়েছেন, ওখানেই ব্যাট করতে পছন্দ করেন তিনি।
আইপিএলে এ বার পঞ্জাব কিংসের অধিনায়ক শ্রেয়স। নতুন দলের হয়ে নামার আগে সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে তিনি বলেন, “চার নম্বরে ব্যাট করা আমার পছন্দ। ২০২৩ সালের বিশ্বকাপ হোক বা এ বারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, চার নম্বরে ব্যাটিং সবচেয়ে বেশি উপভোগ করেছি। ওখানেই আমার প্রতিভা কাজে লাগানোর সুযোগ সবচেয়ে বেশি পাই। চার নম্বর নিজের করে নিতে চাই।”
শ্রেয়সের মতে, তিনি দলের ভারসাম্য ধরে রাখতে চান। সেটা তিনি চার নম্বরে রান করে করতে চান। কেকেআরকে গত মরসুমে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন করা শ্রেয়স বলেন, “আমি চাই, চার নম্বরে নেমে ধারাবাহিক ভাবে রান করতে। তেমনটা করতে পারলে দলের ভারসাম্য ভাল থাকবে। যখনই দেশের হয়ে খেলতে নামি, তখনই ওই লক্ষ্য থাকে আমার।”
আরও পড়ুন:
তবে গত কয়েক বছরে শ্রেয়সের একটি দুর্বলতা সকলের সামনে প্রকাশ পেয়েছে। শর্ট বলের সামনে স্বচ্ছন্দ নন তিনি। ২০২৩ সালের বিশ্বকাপ তা দেখা গিয়েছে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও তাঁকে পেসারেরা লাগাতার শর্ট বল করেছেন। তবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ততটা সমস্যায় দেখায়নি শ্রেয়সকে। তিনি জানিয়েছেন, শর্ট বলের সমস্যা মেটাতে অনেক পরিশ্রম করেছেন। শ্রেয়স বলেন, “হ্যাঁ, শর্ট বলে আমার একটা সমস্যা ছিল। তবে সবাই এমন করছিল, শর্ট বল করলে যেন খেলতেই পারব না। আমি পরিশ্রম করেছি। নিজের উপর বিশ্বাস রেখেছি। এখন শর্ট বল খেলতে তেমন সমস্যা হয় না। আশা করি আগামী দিনে আরও সাবলীল ব্যাট করব।”
২০২৩ সালের বিশ্বকাপে চার নম্বরে ১১টি ম্যাচে ৫৩০ রান করেছিলেন শ্রেয়স। কোহলির পর ভারতীয় ব্যাটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রান ছিল তাঁর। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও পাঁচটি ম্যাচে ২৪৩ রান করেছেন শ্রেয়স। ভারতের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন। প্রায় প্রতিটি ম্যাচে ভরসা দেখিয়েছেন তিনি। এই ভরসা ধারাবাহিক ভাবে দেখাতে চান শ্রেয়স। যে দুর্বলতা ভারতকে এত বছর ভুগিয়েছে তা দূর করতে চান তিনি।