রোহিত শর্মা। —ফাইল চিত্র।
প্রথম ইনিংসে ৩৪.৪ ওভারে ২৮৫ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭.২ ওভারে ৯৮ রান। প্রথম ইনিংসে রান রেট ৮-এর উপর। দ্বিতীয় ইনিংসেও ৬-এর কাছে। কানপুরে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দুই ইনিংসেই টি-টোয়েন্টির মেজাজে ব্যাট করেছে ভারত। এই আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের নেপথ্যে কী পরিকল্পনা ছিল, জানিয়েছেন রোহিত শর্মা।
কানপুরে বৃষ্টি ও তার জেরে মাঠ ভিজে থাকায় দু’দিনের বেশি সময়ের খেলা নষ্ট হয়। দেখে মনে হচ্ছিল, খেলার ফয়সালা হবে না। কিন্তু চতুর্থ দিন ছবিটা বদলে দেয় ভারত। বাংলাদেশের ২৩৩ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভার থেকে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং শুরু করে তারা। টেস্টের ইতিহাসে দ্রুততম ৫০, ১০০, ১৫০, ২০০ ও ২৫০ রান করে ভারত। এই ইনিংসের ফলেই আড়াই দিনে টেস্ট জিতে নেয় তারা।
খেলা শেষে এই আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের নেপথ্য কাহিনি জানিয়েছেন রোহিত। তিনি বলেন, “আড়াই দিন বৃষ্টিতে নষ্ট হওয়ার পরে আমরা পরিকল্পনা করেছিলাম যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাংলাদেশকে অল আউট করব। সব কিছু নির্ভর করছিল ওরা কত রান করতে পারে। এক বার যখন দেখলাম ওরা ২৩০ রান করল, তখন ঠিক করলাম দ্রুত রান তুলব। কারণ, কত রান করব সেটা বড় বিষয় ছিল না, বড় বিষয় ছিল দ্বিতীয় ইনিংসে কত ওভার বল করার সুযোগ পাব। কারণ, পিচে বোলারদের জন্য বিশেষ সুবিধা ছিল না। সেখানে বোলারেরা যা করেছে তার জন্য ওদের কোনও প্রশংসা যথেষ্ট নয়।”
দ্রুত রান তুলতে গেলে যে আউট হওয়ার ঝুঁকি থাকবে তা জানতেন রোহিত। কিন্তু সেই কথা মাথায় ছিল না তাঁর। তিনি শুধু আগ্রাসী ক্রিকেট খেলতে চেয়েছিলেন। রোহিত বলেন, “বড় শট খেলতে গেলে আউট হওয়ার ঝুঁকি থাকে। আমাদেরও ছিল। কম রানে অল আউট হয়ে যেতে পারতাম। ১০০-১৫০ রানে অল আউট হলেও দুঃখ ছিল না। আমরা শুধু নিজেদের একটা সুযোগ দিতে চেয়েছিলাম। ড্রয়ের কথা ভাবছিলাম না।”
একই কথা জানিয়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিনও। সিরিজ়ের সেরার পুরস্কার নিতে গিয়ে তিনি বলেন, “রোহিত চেয়েছিল আমরা যাতে দ্বিতীয় ইনিংসে ৮০ ওভার বল করতে পারি। সেটাই আমাদের বলেছিল। আমরা ঠিক করেছিলাম শুরু থেকে বড় শট খেলব। রোহিত নিজেই সেই পথ দেখিয়ে দিয়েছিল। বাকিরা সে ভাবেই খেলেছে। সেই কারণেই জিতেছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy