সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন বিদ্রোহী নেতা আহমেদ আল-শারা। সে দেশের সরকারি সংবাদমাধ্যম ‘সানা’ এ খবর জানিয়েছে। জঙ্গি সংগঠন আল কায়দার প্রাক্তন নেতা শারা প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরেই সিরিয়ার সংবিধানকে বাতিল ঘোষণা করেছেন। সেই সঙ্গে জানানো হয়েছে, আইন পরিষদ গঠনের পরে তৈরি হবে নতুন সংবিধান।
প্রায় দেড় দশকের গৃহযুদ্ধের পর গত ৮ ডিসেম্বর প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সরকারকে উৎখাত করে সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাস দখল করেছিল বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) এবং তাদের সহযোগী ‘জইশ আল-ইজ্জা’র যৌথবাহিনী। ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট আসাদ প্রাণ বাঁচাতে সিরিয়া ছেড়ে রাশিয়ায় চলে যান। এর পরে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর শীর্ষনেতা আবু মুহাম্মদ আল-জোলানি অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের কথা ঘোষণা করেন। সেই সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছিলেন আর এক বিদ্রোহী নেতা মহম্মদ আল-বশির।
আরও পড়ুন:
অন্তর্বর্তী সরকারের সামরিক মুখপাত্র হাসান আবদেল গনি বৃহস্পতিবার সিরিয়ার সশস্ত্র বাহিনীগুলির বিলুপ্তির কথাও ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘চার বছরের মধ্যে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে।’’ তার আগে সংবিধান প্রণয়ন এবং সশস্ত্র বাহিনীর পুনর্গঠন করা হবে বলেও জানান আল-জোলানির ঘনিষ্ঠ গনি। ‘স্বৈরচারী শাসক’ বাশারের দল বাথ পার্টিকে ‘নিষিদ্ধ’ ঘোষণাও করেন তিনি।
আরও পড়ুন:
সিরিয়ায় দীর্ঘ দিন শাসন করেছে আসাদ পরিবার। সে দেশের বর্তমান সংবিধান বাশারের বাবা হাফিজ় আল-আসাদের জমানায় কার্যকর হয়েছিল। টানা ৩০ বছর সিরিয়া শাসন করেছিলেন তিনি। বাশার এবং তাঁর বাবা হাফিজ়, দু’জনে মিলে ৫০ বছরের বেশি সময় সিরিয়া শাসন করেছেন। ২০০০ সালে হাফিজ়ের মৃত্যুর পর ক্ষমতায় আসেন বাশার। টানা ২৪ বছর শাসন করার পর গত ৮ ডিসেম্বর সিরিয়ায় তাঁর সাম্রাজ্যের পতন হয়। তবে এখনও পশ্চিমে ভূমধ্যসাগরের উপকূলবর্তী এলাকার কিছু অংশ প্রাক্তন সরকারের অনুগত সেনা ও মিলিশিয়া বাহিনীর দখলে রয়েছে।