ফুরফুরে: শেষ আটে নামার আগে আত্মবিশ্বাসী মনোজরা। নিজস্ব চিত্র
বাংলার হয়ে দীর্ঘদিন খেলছেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার। দলকে ফাইনালে তুললেও রঞ্জি ট্রফি জেতার স্বাদ অপূর্ণই থেকে গিয়েছে। শেষ বারও সৌরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ফাইনালে হারে বাংলা। এ বার সেই অপূর্ণ স্বাদ পূরণ করার জন্য মরিয়া মনোজ তিওয়ারি ও অনুষ্টুপ মজুমদার।
শেষ বারের রঞ্জি ট্রফিতে দু’জনের ভূমিকা ছিল সম্পূর্ণ আলাদা। চার নম্বরে নামতেন মনোজ। ছ’নম্বরে অনুষ্টুপ। অধিকাংশ ম্যাচে অনুষ্টুপ ও শাহবাজ় আহমেদের জুটি বাংলাকে ম্যাচে বাঁচিয়ে রাখত। সেমিফাইনালে ইডেনে কর্নাটকের বিরুদ্ধে অনুষ্টুপই সেঞ্চুরি করে বাংলাকে জেতার সুযোগ তৈরি করে দেন। এ বার তাঁকে নামতে হচ্ছে চার নম্বরে। পাঁচে খেলবেন মনোজ।
রঞ্জি ট্রফির গ্রুপ পর্ব থেকে চারেই ব্যাট করতে হচ্ছে অনুষ্টুপকে। নতুন এই ভূমিকায় নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন তিনি। ৬ জুন থেকে ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে বাংলার কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ। তার আগে শনিবার অনুষ্টুপ বলছিলেন, ‘‘দায়িত্ব খুব একটা আলাদা নয়। চার নম্বরে নেমে ইনিংস গড়ার দায়িত্বই নিতে হবে। আগেও সেটাই করে এসেছি।’’ যোগ করেন, ‘‘ব্যাটার হিসেবে রান করে দলকে ভাল জায়গায় পৌঁছে দেওয়াই দায়িত্ব আমার। এর চেয়ে বেশি কিছু ভাবছি না।’’
নক-আউট পর্বে নামার আগে বাংলা দু’টি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে। দ্বিতীয় ম্যাচে উত্তরাখণ্ডের বিরুদ্ধে ৪৪ রান করেছেন মনোজ। তিনি চেয়েছিলেন, ক্রিজ়ে বেশি সময় কাটাতে। দু’টি সেশন ব্যাট করতে পেরে মনোজ কিছুটা স্বস্তিতে। বলেন, ‘‘আমার ইচ্ছে ছিল উইকেটে সময় কাটানোর। যাতে ম্যাচের আগে ছন্দে ফিরে আসা যায়। প্রস্তুতি ম্যাচে সেই সুযোগ পেয়েছি। আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। দলের প্রত্যেকে ফুরফুরে মেজাজে রয়েছে। আশা করি, দারুণ লড়াই করবে ছেলেরা।’’
মনোজের বয়স ৩৬। আর কত দিন তিনি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলার ফিটনেস ধরে রাখতে পারবেন, বাংলার ক্রিকেটপ্রেমীদের প্রশ্ন। কিন্তু মনোজ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, অবসর নিয়ে আপাতত কোনও রকম চিন্তা-ভাবনা তিনি করছেন না। বাংলার হয়ে রঞ্জি ট্রফি জেতার স্বপ্ন পূরণ করাই মূল লক্ষ্য তাঁর। মনোজের কথায়, ‘‘বয়সকে একটি সংখ্যা হিসেবেই দেখি। ফিটনেস ধরে রাখতে পারলে না খেলার কোনও কারণ দেখছি না। অবসর নিয়ে আপাতত কোনও রকম চিন্তা-ভাবনা নেই। আমি বাংলাকে ট্রফি দিতে চাই। এই স্বপ্নই ভাল খেলার জন্য উদ্বুদ্ধ করে।’’
অনুষ্টুপও শেষ বার হেরে যাওয়ার পরে আবেগপ্রবণ হয়ে একটি পোস্ট দিয়েছিলেন গণমাধ্যমে। এ বার যাতে সেই রকম কোনও পোস্ট দিতে না হয়, সেই চেষ্টাই করবেন। প্রস্তুতিতে কোনও ফাঁক রাখেনি বাংলা দল। শাহবাজ়, আকাশ দীপরা দলে ফিরেছেন আইপিএল খেলে। অনুষ্টুপ তাই বলছিলেন, ‘‘আমাদের দল খুবই শক্তিশালী। বিশেষ করে পেসাররা দেশের অন্যতম সেরা। আমরা যদি সাড়ে তিনশো তুলে দিতে পারি, বাংলার বোলিং বিভাগের বিরুদ্ধে সেই রান করা সহজ নয়।’’
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy