শাকিব আল হাসান। ফাইল ছবি।
মোমিনুল হক যেন বাংলাদেশের জো রুট। ব্যাটে রান নেই। নেতৃত্বে জয় নেই। দেশ-বিদেশে পর পর টেস্ট সিরিজে হারের পর আচমকাই ইস্তফা দিয়েছেন টেস্ট অধিনায়কত্ব থেকে।
মোমিনুলের পর কে হবেন টেস্ট অধিনায়ক? এটাই এখন সব থেকে বড় প্রশ্ন বাংলাদেশ ক্রিকেটে।
সেরা লোক হতে পারেন অলরাউন্ডার শাকিব আল হাসান। তাঁকেই চাইছে বাংলাদেশ। কিন্তু, তাঁকে কতটা পাওয়া যাবে সেটাই সব থেকে বড় চিন্তা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কর্তাদের। সব ধরনের ক্রিকেটে শাকিবকে পাওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত নন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান।
নাজমুল বলেছেন, ‘‘শাকিব তিন ধরনের ক্রিকেটেই বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিতে পারে। কিন্তু আমাদের জানতে হবে, ও নিয়মিত টেস্ট ক্রিকেট খেলতে রাজি কি না। শাকিব আগেও বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছে। ওর যোগ্যতা নিয়ে আমাদের কোনও প্রশ্ন নেই। কিন্তু ওকে সব সময় পাওয়ার ব্যাপারে আমাদের নিশ্চিত হতে হবে।’’
বিসিবি কর্তারা নেতৃত্ব নিয়ে প্রথমে শাকিবের সঙ্গেই আলোচনা করতে চান। শাকিব দায়িত্ব নিতে রাজি হলে এক রকম। না হলে নতুন করে ভাবতে হবে তাঁদের। নাজমুল বলেছেন, ‘‘শাকিব যদি হঠাৎ কোনও সিরিজ বা ম্যাচের আগে না খেলার সিদ্ধান্ত নেয়, তা হলে সমস্যা তো হবেই। বিশেষ করে যদি ও অধিনায়ক হয়। তাই আগে ওর সঙ্গে কথা বলতে চাই আমরা। এমন কাউকে আমরা নেতৃত্বের দায়িত্ব দিতে চাই না, যার মধ্যে দ্বিধা রয়েছে।’’
এর আগে ১৪টি টেস্টে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন শাকিব। তাঁর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট জীবন যথেষ্ট সফল। একার কৃতিত্বে দেশকে বহু জয় এনে দিয়েছেন। দলের সকলে তাঁকে শ্রদ্ধা করেন। শাকিব যদি রাজি না হন তা হলে বিসিবি কর্তাদের অন্য কারোর কথা ভাবতে হবে। শাকিবের সঙ্গে কথা বলার আগে দ্বিতীয় কোনও নাম নিয়ে ভাবতে চাইছেন না তাঁরা।
পাঁচ দিনের ক্রিকেটে বাংলাদেশের পরিসংখ্যান কোনও দিনই তেমন দারুণ নয়। ২০০০ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত ১৩২টি টেস্ট খেলে জয়ের সংখ্যা মাত্র ১৬। এর মধ্যে অর্ধেকই আবার জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে। হারতে হয়েছে ৯৮টি ম্যাচ।
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে হারের পর ঘুরে দাঁড়াতে ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজকে গুরুত্ব দিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। সেই সিরিজও হারতে হয়েছে ০-১ ব্যবধানে। সিরিজ হারের থেকেও গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের অধিকাংশের হতশ্রী পারফরম্যান্স। তার পরেই তীব্র সমালোচনা শুরু হয় অধিনায়ক মোমিনুলের।
২০১৯-এর অক্টোবর থেকে টেস্ট দলের অধিনায়ক ছিলেন মোমিনুল। অধিনায়কত্বের চাপে তাঁর ব্যাটিংও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শেষ ছ’ম্যাচে মাত্র ১৬২ রান করেছেন। গড় ১৬.২০। মোমিনুলের অধীনে বাংলাদেশ জিতেছে তিনটি টেস্ট। হেরেছে ১২টি। অমীমাংসিত ভাবে শেষ হয়েছে দু’টি ম্যাচ।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy