মারাকানায় পেলের নামকরণে আপত্তি। ফাইল ছবি
তাঁকে দেশের সর্বকালের সেরা ফুটবলার মানতে আপত্তি নেই। কিন্তু পেলের নামে মারাকানা স্টেডিয়ামের নামকরণে আপত্তি রয়েছে ব্রাজিলীয়দের। সম্প্রতি সরকার মারাকানা স্টেডিয়ামের নাম বদলানোর চেষ্টা করতেই বিক্ষোভ সামনে এসেছে। যদিও সরকার মানতে নারাজ। সব ঠিক থাকলে আগামী সপ্তাহেই হয়তো মারাকানার নাম বদলে যেতে চলেছে।
সরকারি ভাবে স্টেডিয়ামের নাম রয়েছে সাংবাদিক মারিয়া ফিলহোর নামে। ১৯৫০ বিশ্বকাপের আগে রিও ডি জেনেইরোর কেন্দ্রস্থলে স্টেডিয়াম গড়ার ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি। নিজের মালিকানাধীন সংবাদপত্রকে ব্যবহার করে তিনি রিওর নাগরিকদের উদ্বুদ্ধ করেছিলেন শহরের বাইরে স্টেডিয়াম বানানোর পরিকল্পনা থেকে সরে আসতে। ১৯৬৬-তে তিনি প্রয়াত হওয়ার পর স্টেডিয়ামের নামকরণ করা হয় ফিলহোর নামে।
ফিলহোর নাতি মারিয়ো নেতো নাম বদল মানতে পারছেন না। বলেছেন, “নাম বদল করার পিছনে কোনও যুক্তি নেই। আমার ঠাকুর্দা না থাকলে মারাকানা স্টেডিয়াম কোনওদিন হতই না। দূরে কোনও জায়গায় খেলা দেখতে যেতে হত সবাইকে। ফিলহো না থাকলে পেলে বারবার এই মাঠে খেলতেও চাইতেন না।”
তবে ব্রাজিলের শাসকদলের নেতা আন্দ্রে সেসিলিয়ানো জানিয়েছেন, বিশ্বব্যপী জনপ্রিয় নেতাকে জীবিত অবস্থায় স্বীকৃতি দেওয়ার এর থেকে ভাল উদ্যোগ আর হতে পারে না। ১৯৯৪ বিশ্বকাপজয়ী দলের অধিনায়ক বেবেতোও নাম বদলানোর সপক্ষে বলেছেন, “পেলে সর্বকালের সেরা ফুটবলার এবং মারাকানা বিশ্বের সব থেকে বড় স্টেডিয়াম। তাই নাম বদলের থেকে ভাল কিছু হতে পারে না।” যদিও ১৯৭০ বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য গারসন এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছেন।
উল্লেখ্য, মারাকানা স্টেডিয়ামেই পেলের অভিষেক হয়েছিল। তাঁর হাজারতম গোলও এই মাঠেই। এই স্টেডিয়ামেই ১৯৫০-এর ফাইনাল হেরে গিয়েছিল ভারত। ২০১৬-র অলিম্পিক্সের উদ্বোধন এবং সমাপ্তি অনুষ্ঠান হয়েছিল এ মাঠেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy