চণ্ডীগড়ে পৌঁছে বিরাটরা। বৃহস্পতিবার। ছবি: শঙ্কর নাগ দাস।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচটা কী জিতল ভারত! এর পর টিমের নিশ্চয়ই মনে হচ্ছে যে, ঈশ্বরের আশীর্বাদের দু’হাতই ওদের উপর! জীবনে ক্লোজ ম্যাচ অনেক দেখেছি। কিন্তু বাংলাদেশের এই হার, ভাবাই যায় না! ম্যাচের পর ওদের ড্রেসিংরুম নিশ্চয়ই স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। তিন বলে তিনটে উইকেট হারানো, দু’জন সেট ব্যাটসম্যান ক্রিজে থেকেও দুটো রান না করতে পারা— হজম করা সত্যিই কঠিন।
শেষ ওভারে দ্বিতীয় বাউন্ডারিটা মারার পর বাংলাদেশের কাজ ছিল শুধু একটা সিঙ্গল নেওয়া। সেই সুযোগটাও ওদের ছিল, কারণ ধোনি ফিল্ড ছড়িয়ে দিয়েছিল। ওই একটা রান নিলে স্কোর লেভেল হয়ে যেত। ধোনি ফিল্ডারদের আরও কাছে নিয়ে আসতে বাধ্য হত। এটা বলছি ঠিকই। কিন্তু ভারত, ধোনি আর পাণ্ড্যকেও ওদের প্রাপ্য কৃতিত্বটা দিতে হবে। শেষ বল পর্যন্ত ওরা নিজেদের নার্ভ ধরে রেখেছিল।
তবে ভারতকে একটা ব্যাপার মানতেই হবে। সেটা হল, টুর্নামেন্টে আপাতত ওদের ব্যাটিং প্রত্যাশামতো হয়নি। আমি সবচেয়ে অবাক হয়েছি ভারতের খেলা তিনটে সারফেসেই স্পিনের মাত্রা দেখে। জোর আওয়াজ ছড়িয়েছে যে, হয়তো টার্নিং পিচ তৈরি করার নির্দেশ পেয়েছেন কিউরেটররা। কিন্তু বিশ্বাস করুন, এ রকম কিছুই হয়নি। অন্তত কলকাতার ব্যাপারটা আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি। ইডেনে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে বল অত টার্ন করেছে কারণ বৃষ্টির জন্য পিচে অতিরিক্ত আর্দ্রতা ছিল। আমার মনে হচ্ছে যে, সব মাঠকর্মীরাই বেশি রানের পিচ বানাতে মরিয়া হয়ে পড়ে উইকেটগুলোকে শুকনো রেখে দিচ্ছে। যার জন্য বল এত ঘুরছে।
বুধবার বাংলাদেশ ম্যাচে ভারতীয় ব্যাটিং কিছুটা নড়বড়ে দেখাল। শিখর ধবন আর রোহিত শর্মার ফর্ম নিয়ে প্রচুর কথা হচ্ছে। আমার মত অবশ্য আলাদা। ওরা শুধু নিউজিল্যান্ড আর পাকিস্তান ম্যাচে ব্যর্থ। টি-টোয়েন্টিতে যেটা হতেই পারে। ওদের উচিত এখন খবরের কাগজ পড়া বন্ধ করে স্বাধীন ভাবে খেলার চেষ্টা করা। এটাও হতে পারে যে, সারফেসগুলো এই ইতস্তত করে খেলার কারণ। হয়তো মোহালির পিচ ভাল হলে ব্যাপারটা পাল্টে যেতে পারে। আমি নিশ্চিত যে, একটা ভাল হার্ড সারফেস শুধু রোহিত-শিখর নয়, টিমের বাকি ব্যাটসম্যানদেরও মনোভাব পাল্টে দেবে।
বুধবার শেষমেশ ভারত জিতল ঠিকই। কিন্তু আমার টিমটাকে একটু ফ্ল্যাট, একটু নীরস লাগছে। ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ খেলা মোটেও সহজ নয়। মাঝে মাঝে প্রত্যাশার চাপটা প্রচণ্ড বেশি হয়ে যায়। ভারতীয়দের দরকার এই শেকল ছিঁড়ে পরিবেশটা উপভোগ করা। এই টিমে দুর্দান্ত কয়েকজন হিটার রয়েছে। যাদের শুধু একটাই কাজ করতে হবে। স্বাধীন ভাবে নিজস্ব খেলাটা খেলতে হবে।
ব্যাটিং অর্ডারে ধোনির উঠে আসা নিয়ে অনেক বার অনেক কিছু বলেছি, জানি। ছ’নম্বরে ব্যাটিং নিয়ে মনে হয় ও বেশ খুশি। তবে যুবরাজ বা রায়না তো এখনও দুরন্ত ফর্মে পৌঁছয়নি। তাই অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে অন্তত ক্যাপ্টেন একটু ফ্লেক্সিবল হতে পারে। ইনিংসের মাঝের সময়টায় একটু গতি দরকার। তার পর ছ’নম্বরে ফেরার জন্য তো ধোনির কাছে গোটা ভবিষ্যৎ পড়ে থাকছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy