সকালে দিন্দাই তিন উইকেট নিয়ে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠলেন। ফাইল চিত্র।
সরাসরি জয়ের আশায় মধ্যপ্রদেশকে ফলো-অন করিয়েও লাভ হল না। ইডেনে ড্র-ই হল বাংলা-মধ্যপ্রদেশের রঞ্জি ম্যাচ। প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকার সুবাদে তিন পয়েন্ট পেল বাংলা। সরাসরি হার এড়াতে পারায় এক পয়েন্ট জুটল মধ্যপ্রদেশেরও।
বাংলার ৫১০ রানের জবাবে বৃহস্পতিবার প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেটে ২৫৪ নিয়ে শুরু করেছিল মধ্যপ্রদেশ। সেখান থেকে ইনিংসে দাঁড়ি পড়ে ৩৩৫ রানে। অশোক ডিন্ডাই ঘাতক হয়ে ওঠেন। সকালে তিনি নেন তিন উইকেট। চার উইকেট নিয়ে ডিণ্ডাই (৪-৭৮) সফলতম বোলার। সকালে বাকি দুই উইকেট ভাগ করে নেন অনুষ্টুপ মজুমদার ও ঈশান পোড়েল। ডিণ্ডার পরে অনুষ্টুপই (৩-৩৮) বল হাতে ভরসা দিলেন দলকে।
১৭৫ রানে পিছিয়ে থাকা মধ্যুপ্রদেশকে ফলো-অন করায় বাংলা। ৬৯ রানের মধ্যে পড়ে যায় তিন উইকেট। ফিরে যান অধিনায়ক নমন ওঝাও (২)। কিন্তু ওপেনাক আর্যমান বিক্রম বিড়লা ও পাঁচ নম্বরে নামা শুভম শর্মার অবিচ্ছিন্ন চতুর্থ উইকেটে ১৭১ রানের জুটি বাংলার সরাসরি জয়ের সম্ভাবনায় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। আর্যমান অপরাজিত থাকেন ১০৩ রানে। শুভম অপরাজিত থাকেন ১০০ রানে। দুই উইকেট নিয়ে অনুষ্টুপই বাংলার সফলতম বোলার। চতুর্থ দিনে চায়ের বিরতির পর খেলা শেষের সময় মধ্যপ্রদেশের রান ছিল তিন উইকেটে ২৪০।
আরও পড়ুন: টুইট করে হরমনপ্রীতদের সমর্থনে বার্তা কোহালির
আরও পড়ুন: ২৯ বছর আগের সেই দিন! অভিষেক নিয়ে টুইট সচিনের
বাংলা শিবির অবশ্য সন্তুষ্ট তিন পয়েন্টে। ম্যাচের সেরা মনোজ বললেন, "যা স্ট্র্যাটেজি ছিল, তা খেটে গিয়েছে। তিন পয়েন্ট ভালই আমাদের পক্ষে। পরের দিকে উইকেট মন্থর হয়ে গিয়েছিল। তাই কাজটা সহজ ছিল না। সামনের ম্যাচ কেরলের বিরুদ্ধে নতুন পরিকল্পনা করব।" রঞ্জিতে দুই ম্যাচে বাংলার পয়েন্ট এখন ছয়। অশোক ডিন্ডা ও ইশান পোড়েল, দুই পেসারকে নিয়ে অবশ্য হালকা সমস্যা রয়েছে। হাঁটু ফুলে রয়েছে ডিণ্ডার। দ্বিতীয় ইনিংসে এক ওভারের বেশি বল করেননি। আর ইশান পরের দিকে উঠে আসেন। তাঁর ফোঁড়া রয়েছে। মনোজ অবশ্য আশাবাদী যে পরের ম্যাচে পাবেন দুই পেসারকেই।
(আইসিসি বিশ্বকাপ হোক বা আইপিএল, টেস্ট ক্রিকেট, ওয়ান ডে কিংবা টি-টোয়েন্টি। ক্রিকেট খেলার সব আপডেট আমাদের খেলা বিভাগে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy