জাতীয় নির্বাচকদের যোগ্যতামান নির্ধারণেও লোঢা-সুপারিশ মানল না ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।
নির্বাচক বাছাইয়ের জন্য যে বিজ্ঞাপন শনিবার নিজেদের ওয়েবসাইটে দিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড তাতে বলা হয়েছে, ‘‘জাতীয় সিনিয়র নির্বাচক পদের জন্য আবেদনকারীদের হয় অন্তত একটা টেস্ট অথবা একটা ওয়ান ডে ইন্টারন্যাশনাল অথবা ভারতে ৫০টার বেশি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।’’
কিন্তু বিচারপতি লোঢা প্যানেল যে সুপারিশ করেছিল, তাতে বলা আছে, ‘‘ভারতের হয়ে টেস্ট খেলা প্রাক্তন ক্রিকেটাররাই শুধু জাতীয় নির্বাচক হতে পারবেন।’’ যার ফলে বর্তমান নির্বাচক কমিটিতে গগন খোদার ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তিনি ভারতের হয়ে দুটো ওয়ান ডে খেললেও টেস্ট খেলেননি।
কিন্তু শনিবার বোর্ড যে বিজ্ঞাপন দিল, তাতে টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা থাকতেই হবে, এমন শর্ত দেওয়া হয়নি। আগে যে যোগ্যতামান ছিল, সেটাই রেখে দেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গে যোগ করা হয়েছে আরও দুটো ব্যাপার— আবেদনকারীর বয়স ৬০ বছরের মধ্যে হতে হবে। আর নির্বাচিত হলে তাঁকে মেডিক্যাল টেস্ট দেওয়ার জন্য তৈরি থাকতে হবে। এ দিন এই ব্যাপারে বোর্ড সচিব অজয় শিরকের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
আবেদন করার জন্য ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে হবু নির্বাচকদের। অর্থাৎ এজিএমের এক সপ্তাহ আগে। রাজ্য সংস্থার সিনিয়র বা জুনিয়র নির্বাচক থাকার অভিজ্ঞতাকে বাড়তি গুরুত্বও দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বোর্ড। তবে এটা বাধ্যতামূলক নয়।
লোঢাদের সুপারিশ যে একেবারেই মানা হয়নি, তা নয়। তাঁদের সুপারিশ মেনে বলে দেওয়া হয়েছে যে, আবেদন করার তারিখ থেকে অন্তত পাঁচ বছর আগে সব রকম ক্রিকেট থেকে সরকারি ভাবে অবসর নিতে হবে আবেদনকারীদের। আইপিএল বা বিশ্বের কোনও লিগের সঙ্গে কোনও ভাবে যুক্ত থাকাও চলবে না তাঁদের। কোনও ক্রিকেট অ্যাকাডেমির সঙ্গেও যুক্ত থাকতে পারবেন না। আর নির্বাচিত হওয়ার আগে তাঁদের ইন্টারভিউতেও ডাকা হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy