এশিয়া কাপ মূলপর্বের সব খেলাই হবে মিরপুরের শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে। কিন্তু তার আগে সেখানেই নিয়মিত অনুশীলনের সুযোগ পাচ্ছে না বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। অনুশীলন করতে হবে খুলনা ও চট্টগ্রামে। এই মুহূর্তে খুলনাতেই রয়েছে দল। জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে টি২০ সিরিজের চারটি ম্যাচ খেলতে হবে এখানেই। এই সিরিজ শেষে খুলনাতেই থেকে যাবে দল। সেখানে শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে কিছুদিন অনুশীলনের পর চলে যাবে চট্টগ্রামে। সেখানেও জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে হবে শিবির। শেষ কয়েকদিন মূল স্টেডিয়ামে অনুশীলনের সুযোগ পাবে দল। কিন্তু সেটা এত বড় আসরে নামার আগে যথেষ্ট নয়। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের জন্য ঢাকা ও ঢাকা সংলগ্ন দু’টি স্টেডিয়াম ইতিমধ্যেই আইসিসির হাতে তুলে দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। মিরপুর শের-ই বাংলা ও ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়াম রয়েছে এই তালিকায়। ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আইসিসির দখলে থাকবে স্টেডিয়াম দু’টি। ততদিন চট্টগ্রামেই থাকবে দল। ১৪ ফেব্রুয়ারির পর অবশ্য মাঠ ভাগাভাগি করে নিতে হবে খেলতে আসা দল হংকং, নেপাল, ওমান ও আফগানিস্তানের সঙ্গে। বিসিবির সিইও নিজামুদ্দিন চৌধুরী সুজন বলেন, ‘‘অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ শেষ না হওয়া পর্যন্ত সিনিয়র দলের জন্য মাঠ দেওয়া সম্ভব নয়। এ জন্যই দু’দফায় খুলনা ও চট্টগ্রামে অনুশীলন করবে দল। ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত খুলনায় থাকতে হচ্ছে। এরপর প্রথমে সিলেটে হওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত চট্টগ্রামেই হবে দ্বিতীয় পর্যায়ের শিবির।’’
আরও খবর : টি২০ সিরিজের জন্য সেজে উঠছে খুলনা
গত ৮ জানুয়ারি থেকে ঢাকার বাইরে রয়েছেন সাকিবরা। বাইরে কাটাতে হবে ৩৮ দিন। তার আগে কক্সবাজারে কন্ডিশনিং ক্যাম্পও করেছে দল। এত সময় দেশে থেকেও ঢাকার বাইরে রয়েছে দল এমনটা আগে হয়নি। বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক ও বর্তমান নির্বাচক হাবিবুল বাশার নিজেও বিস্মিত। তিনি বলেন, ‘‘এক সময় বিকেএসপিতে লম্বা সময় ধরে ক্যাম্পে থেকেছি। কিন্তু সেই সময় টানা ১০দিন পর ছুটি পেতাম একদিন করে। তবে টানা একমাস ঢাকার বাইরে অনুশীলনের জন্য থাকিনি। এটা এই প্রজন্মের ক্রিকেটারদের জন্য নতুন অভিজ্ঞতা।’’ ২০০৬ সালে মিরপুরের স্টেডিয়াম হওয়ার পর থেকে আর বাইরে বেশি সময় থাকেনি দল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy