ব্যাট করছেন তামিম ইকবাল। ছবি: এপি।
শ্রীলঙ্কা ৩৩৮ ও ৩১৯
বাংলাদেশ ৪৬৭ ও ১৯১/৬ (৫৭.৫ ওভার)
চার উইকেটে জয় বাংলাদেশের।
প্রথম ইনিংস থেকেই জয়ের পথে হাঁটতে শুরু করে দিয়েছিল বাংলাদেশ। শততম টেস্ট ম্যাচ বলে কথা। ঐতিহাসিক ম্যাচকে চিরস্মরণীয় করে রাখলেন সাকিব, তামিমরা। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে হারের পর দ্বিতীয় টেস্টেই ঘুরে দাঁড়াল বাংলাদেশ। লড়াই করে জয় ছিনিয়ে নিলেন টাইগারসরা। প্রথম টেস্টে হারের পর দ্বিতীয় টেস্টেই জয় ছিনিয়ে নিল বাংলাদেশ। যার ফল দুই টেস্টের সিরিজ শেষ হল ১-১এই।
টস জিতে ঘরের মাঠে ব্যাটিংই নিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। কিন্তু তাদের বড় রানের পথে প্রথমে বাঁধা হয়ে দাঁড়ালেন বাংলাদেশের বোলাররা। দীনেশ চান্দিমালের একটি সেঞ্চুরি ছাড়া সেই ইনিংসে শ্রীলঙ্কার পক্ষ থেকে লড়াই দিতে পারেনি আর কোনও ব্যাটসম্যানই। শ্রীলঙ্কা শিবিরে প্রথম থেকেই হামলা করতে শুরু করে দিয়েছিলেন মুস্তাফিজুর, মেহেদি হাসানরা। না হলে চান্দিমালের ১৩৮ ছাড়া আর কেউই ৪০ রানের গন্ডিও পেড়তে পারেননি। প্রথম ইনিংসে মেহেদি হাসান মিরাজের তিন উইকেট ছাড়াও দুটো করে উইকেট নিয়েছিলেন মুস্তাফিজুর, শুভাশিস ও সাকিব।
আরও খবর: চুরি যাওয়া মোবাইল ফোন পেলেন ধোনি
বোলারদের লড়াইয়ের মর্যাদা দিয়ে গেলেন ব্যাটসম্যানরাও। ৩৩৮ রানের লক্ষ্যে নেমে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস শেষ হল ৪৬৭তে। তামিমের ৪৯ ও সৌম্য সরকারের ৬১ রানের ইনিংস ভিতটা তৈরি করেই দিয়েছিল। এর পর বাংলাদেশের ইনিংসকে ভরসা দেন সাবির রহমান। তিনি আউট হন ৪২ রানে। শেষ বেলায় অবশ্য আসল কাজটি করে যান সাকিব আল হাসান। তাঁর ব্যাট থেকে আসে ১১৬ রান। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত মুশফিকুর রহিম (৫২) ও মোসাদ্দাক হোসেন (৭৫) এর। হেরাথ ও সান্দাকানের চারটি করে উইকেট বড় রান করা থেকে বাংলাদেশকে আটকাতে পারেনি।
উইকেট নেওয়ার পর মুস্তাফিজুর।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে সেঞ্চুরি করেন শ্রীলঙ্কার ওপেনার করুনারত্নে। তাঁর ব্যাচ থেকে আসে ১২৬ রান। এর পর আর কেউই দাঁড়াতে পারেননি বাংলাদেশ বোলিংয়ের সামনে। আট ও ১০ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে দলকে লড়াইয়ে ফেরানোর চেষ্টা করেন পেরেরা (৫০) ও লাকমল (৪২)। কিন্তু তাঁদের লড়াই শেষ হয়ে যায় দলগত ৩১৯ রানে। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরির পর দ্বিতীয় ইনিংসে চার উইকেট নেন সাকিব। তিন উইকেট মুস্তাফিজুরের। দ্বিতীয় ইনিংসে শুরু থেকেই বাংলাদেশকে লড়াইয়ে তুলে আনেন ওপেনার তামিম ইকবাল। তাঁর ব্যাট থেকে আসে ৮২ রান। সাব্বির রহমান আউট হন ৪১ রানে। শেষ বেলায় বেশ কিছুটা চাপে পরে যায় বাংলাদেশ ব্যাটিং। সাকিব আউট হন মাত্র ১৫ রানে। কিন্তু শেষটা ভাল মতই সামলে দেন মুশফিকুর রহিম ও মোসাদ্দেক হোসেন। এই ম্যাচেই টেস্ট অভিষেক হয়েছে মোসাদ্দেকের। ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন শেষ মুহূর্তে। কিন্তু ভাগ্য ভাল ছিল তাঁর সেই ক্যাচ মিস করেন শ্রীলঙ্কা ফিল্ডার। কিন্তু দু’রান বাকি থাকতে আউট হয়ে প্যাভেলিয়নে ফেরেন মোসাদ্দেক। তাঁর জায়গায় নেমে জয়ের দু’রান তুলে নেন মেহদি হাসান মিরাজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy