Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪
হারের কারণ খুঁজতে গিয়ে দু’ভাগ বাংলাদেশ

ছেলেরা এখন আস্তে আস্তে মেনে নিচ্ছে যে আমরা খারাপ ক্রিকেট খেলেছি

বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা শনিবার অ্যাডিলেড ছুঁয়ে রওনা হয়ে যাচ্ছেন ঢাকা। শুক্রবার স্বদেশীয়দের ডাকা এক ডিনারে গোটা দল গেছিল। সেখানেই দলের মধ্যে ম্যাচ ঘিরে ধূমায়িত অসন্তোষ। বহির্বিশ্ব যতই বলুক যে, যে পর্যায়ে বলা হচ্ছে তেমন কিছুই ঘটেনি, ক্রিকেটারদের একটা অংশ প্রচুর ক্ষুব্ধ। তাদের বদ্ধমূল বিশ্বাস আইসিসি ভারতকে এত টানে যে টিম বাস স্টেডিয়ামে এসে দাঁড়ানো থেকে এলবিডব্লিউর অ্যাপিল সব ব্যাপারে দিনে ডাকাতি চলে। এই দলেরই মধ্যে অনেকের বক্তব্য আবার নিশ্চিত ভাবেই তা নয়। এই উদারপন্থী অংশ বুঝছে, হারের জন্য প্রধান দায়ী বাংলাদেশের নিজস্ব ব্যর্থতা। আর কেউ নয়। তাদেরই এক জন সম্ভবত টিম ম্যানেজার এবং প্রাক্তন অধিনায়ক খালেদ মামুদ সুজন। মহাবিতর্কিত ম্যাচ হারার পরের সকালে তিনি এবিপি-কে বললেন...বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা শনিবার অ্যাডিলেড ছুঁয়ে রওনা হয়ে যাচ্ছেন ঢাকা। শুক্রবার স্বদেশীয়দের ডাকা এক ডিনারে গোটা দল গেছিল। সেখানেই দলের মধ্যে ম্যাচ ঘিরে ধূমায়িত অসন্তোষ। বহির্বিশ্ব যতই বলুক যে, যে পর্যায়ে বলা হচ্ছে তেমন কিছুই ঘটেনি, ক্রিকেটারদের একটা অংশ প্রচুর ক্ষুব্ধ। তাদের বদ্ধমূল বিশ্বাস আইসিসি ভারতকে এত টানে যে টিম বাস স্টেডিয়ামে এসে দাঁড়ানো থেকে এলবিডব্লিউর অ্যাপিল সব ব্যাপারে দিনে ডাকাতি চলে। এই দলেরই মধ্যে অনেকের বক্তব্য আবার নিশ্চিত ভাবেই তা নয়। এই উদারপন্থী অংশ বুঝছে, হারের জন্য প্রধান দায়ী বাংলাদেশের নিজস্ব ব্যর্থতা। আর কেউ নয়। তাদেরই এক জন সম্ভবত টিম ম্যানেজার এবং প্রাক্তন অধিনায়ক খালেদ মামুদ সুজন। মহাবিতর্কিত ম্যাচ হারার পরের সকালে তিনি এবিপি-কে বললেন...

গৌতম ভট্টাচার্য
অ্যাডিলেড শেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০১৫ ০৩:৫৫
Share: Save:

১. ইন্ডিয়ান ব্যাটিংটা সত্যি খুব শক্তিশালী। আমরা যদি দক্ষিণ আফ্রিকার এগেনস্টে পড়তাম তা হলে কি একই জিনিস হত? জানি না। সাউথ আফ্রিকাও ভেরি স্ট্রং টিম। হয়তো একই রেজাল্ট হতে পারত।

২. হ্যাঁ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে আমরা আশ্চর্য হয়েছি, ক্ষুব্ধ হয়েছি খুব সত্যি কথা। কিন্তু সেটা নিয়ে বসে থাকলে চলবে কেন? ভাল ডিসিশন-খারাপ ডিসিশন তো খেলারই অঙ্গ।

৩. আমাদের দেশে প্রতিক্রিয়া হয়েছে। ফেসবুক বা সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট থেকে বোধহয় আলোচনাটা বেশি হয়েছে। আলিম দারের ডিসিশন নিয়ে তো ক্ষোভ আছেই কিন্তু আর একটা জায়গা হল শিখর ধবনের রিপ্লেটা ওরা টিভিতে দেখায়ইনি। ঠিক যে জায়গাটা দিয়ে বোঝা সম্ভব ধবনের দড়িতে পা লেগেছিল কি না? এ বার আমার কথা হচ্ছে যখন ওটা ঘটছে, ঠিক তখনই যদি আমরা দু’তিন বার রিপ্লে চাইতাম তার না হয় একটা মানে ছিল। এখন রিপ্লে চেয়ে তো সিদ্ধান্তটা আর ফেরত আসবে না। তা হলে আর জলঘোলা করে লাভ কী! (দুপুরে সৌরভ বলছিলেন, ধবনের পা তিনি খুব মন দিয়ে দেখেছেন। মোটেও ওটা দড়িতে ছোঁয়নি।)

৪. টিম হিসেবে আমাদের বিশ্বকাপে যা টার্গেট ছিল সেটা মোটামুটি পূরণ হয়ে গিয়েছে। হয়তো অবস্থান আর একটু ভাল হতে পারত। হয়তো আরও দু’একটা ম্যাচ যদি আমরা জিততে পারতাম। কিন্তু যেটুকু হয়েছে মন্দ নয়।

৫. এটা স্বীকার করতেই হবে যে এমসিজি মাঠের সঙ্গে আমরা মানাতে পারিনি। শুধু তো ইন্ডিয়া ম্যাচ নয়। এমসিজিতে আগের ম্যাচটাও আমরা খারাপ খেলেছি। মাঠের অ্যাঙ্গলগুলোর সঙ্গে রপ্ত হতে পারলাম না বলে, বড় মাঠের সঙ্গে খাপ খাওয়ানো যায়নি— কী কারণ ঠিক বলতে পারব না। তবে এই ব্যর্থতা নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে।

৬. ছেলেরা এখন আস্তে আস্তে মেনে নিচ্ছে যে আমরা খারাপ ক্রিকেট খেলেছি। বিশেষ করে ব্যাটিংটা।

৭. কোয়ার্টার ফাইনাল অবধি পৌঁছনোয় এক দিক থেকে আনন্দ আছে। কেউ তো ভাবেইনি আমরা যে অস্ট্রেলিয়ান-নিউজিল্যান্ড কন্ডিশন এত ভাল ম্যানেজ করতে পারব। সবাই ভেবেছিল আমরা বাউন্স সামলাতে পারব না। বেশি দূর যেতে হবে না। ঢাকাতেও কত লোক বলেছিল। সেই একটা বড় গোষ্ঠীকে ছেলেরা ভুল প্রমাণ করতে পেরেছে। এটাই ওদের কৃতিত্ব।

৮. ইন্ডিয়া যা দেখলাম, অবশ্যই কাপ জেতার দাবিদার। ইন্ডিয়ান ফিল্ডিং আর রানিং বিটুইন দ্য উইকেট্স দুর্দান্ত। পেস বোলাররা ভাল বল করছে। ঠিক যে যে জায়গায় ওদের সমস্যা হত সেগুলোতেই ওরা দারুণ উন্নতি করেছে। এটাই ভারতকে দেখে শেখার!

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE